০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

কুষ্টিয়ায় ডিবির নামে পাঁচজনকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ১১০৮ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তিন মাদ্রাসা শিক্ষকসহ পাঁচজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত পাঁচজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিকেলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) খায়রুল আলম প্রথম আলো</em>কে বলেন, ওসি আমাকে দুটি জিডির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু গতকাল রাতে ডিবি পুলিশ কোনো অভিযান চালায়নি। জিডি অনুযায়ী পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে।

ওই পাঁচজন কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে। আইয়ুব আলী (৩৫)। তিনি বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক। পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মোস্তফা রাশেদ ওরফে পান্না (৪৭)। তিনি শহীদ নগর শৈলকুপা মাদ্রাসার শিক্ষক। যদুবয়রা ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. হাফিজুল রহমান (২৬)। তিনি লক্ষ্মীপুর মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে মো. হাসান আলী (৩৫) ও মহেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর ছেলে মো. হান্নান (৩০)। তারা বাড়িতে থাকেন এবং বর্তমানে কোন পেশায় নিয়োজিত নন।

জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকী BD OPEN NEWS

বলেন, সকালে হাসানের বাবা ও হান্নানের বড় ভাই আমার বাড়িতে আসেন। তারা অভিযোগ করেন, তাদের দুজনকেই প্রশাসনের পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।

আইয়ুব আলীকে তার সহকর্মী বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক অলিউর রহমান ভালো মানুষ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আইয়ুব আলী সম্প্রতি একটি অনলাইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এতে হয়তো কোনো সমস্যা হয়েছে।

মোস্তফা রাশেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যাদুবয়রা ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, মোস্তফা রাশেদ একজন নিষ্পাপ ছেলে। কারো সাথে কোন সমস্যা নেই। কিভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই পাঁচজনই এসবিএসএল নামে একটি অনলাইন ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন। তাদের কার্যালয় পান্টি বাজার এলাকার নওশ মোড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের মো. তাফসের হোসেনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (তুষার)। প্রায় ছয় মাস আগে ইমরান টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুষ্টিয়ায় ডিবির নামে পাঁচজনকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

আপডেট সময় ০৩:১৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তিন মাদ্রাসা শিক্ষকসহ পাঁচজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত পাঁচজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিকেলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) খায়রুল আলম প্রথম আলো</em>কে বলেন, ওসি আমাকে দুটি জিডির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু গতকাল রাতে ডিবি পুলিশ কোনো অভিযান চালায়নি। জিডি অনুযায়ী পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে।

ওই পাঁচজন কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে। আইয়ুব আলী (৩৫)। তিনি বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক। পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মোস্তফা রাশেদ ওরফে পান্না (৪৭)। তিনি শহীদ নগর শৈলকুপা মাদ্রাসার শিক্ষক। যদুবয়রা ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. হাফিজুল রহমান (২৬)। তিনি লক্ষ্মীপুর মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে মো. হাসান আলী (৩৫) ও মহেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর ছেলে মো. হান্নান (৩০)। তারা বাড়িতে থাকেন এবং বর্তমানে কোন পেশায় নিয়োজিত নন।

জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকী BD OPEN NEWS

বলেন, সকালে হাসানের বাবা ও হান্নানের বড় ভাই আমার বাড়িতে আসেন। তারা অভিযোগ করেন, তাদের দুজনকেই প্রশাসনের পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।

আইয়ুব আলীকে তার সহকর্মী বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক অলিউর রহমান ভালো মানুষ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আইয়ুব আলী সম্প্রতি একটি অনলাইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এতে হয়তো কোনো সমস্যা হয়েছে।

মোস্তফা রাশেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যাদুবয়রা ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, মোস্তফা রাশেদ একজন নিষ্পাপ ছেলে। কারো সাথে কোন সমস্যা নেই। কিভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই পাঁচজনই এসবিএসএল নামে একটি অনলাইন ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন। তাদের কার্যালয় পান্টি বাজার এলাকার নওশ মোড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের মো. তাফসের হোসেনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (তুষার)। প্রায় ছয় মাস আগে ইমরান টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।