১২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

একই গাড়ি ৩৭ জনের কাছে বিক্রি করেছেন জাকির চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

ভুয়া কাগজ বানিয়ে একই গাড়ি বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করতেন তিনি। এভাবে একটি গাড়ি ৩৭ জনের কাছে বিক্রি করেছেন। এসব অভিযোগে সম্প্রতি কুমিল্লার মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবার তাঁর ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে গতকাল বুধবার জাকিরের ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয় বলে জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বন্দর থেকে অল্প দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিতেন জাকির। পরে ‘রেন্ট-এ কার’ ব্যবসার নামে চুক্তি করে গাড়িগুলো মাসিক ভাড়ায় চালাতেন। কিছুদিন ভাড়া পরিশোধের পর তা বন্ধ করে দিতেন তিনি। পাশাপাশি আত্মসাৎ করা হতো গাড়ি কেনার অর্থ।

জাকির একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখিয়ে ৩৭ জনের কাছে সেটি বিক্রি করেছেন উল্লেখ করেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মুগদা থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়। মামলাটি ডিবি ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ৬০ থেকে ৭০টি গাড়ি দেখিয়ে বিভিন্ন পেশার তিন শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন জাকির। তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, এমনকি সংসদ সদস্যও রয়েছেন। জাকিরের ৬৭টি গাড়ি রয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ২০টি গাড়ি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে। আরও ৪০টি গাড়ির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। জাকিরের পাঁচ থেকে ছয়জন সহযোগী রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলে, প্রতারণার মাধ্যমে জাকির আনুমানিক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘আরকে মোটরস’-এর নামে এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনের নামে ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একই গাড়ি ৩৭ জনের কাছে বিক্রি করেছেন জাকির চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৫:২৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

ভুয়া কাগজ বানিয়ে একই গাড়ি বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করতেন তিনি। এভাবে একটি গাড়ি ৩৭ জনের কাছে বিক্রি করেছেন। এসব অভিযোগে সম্প্রতি কুমিল্লার মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবার তাঁর ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে গতকাল বুধবার জাকিরের ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয় বলে জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বন্দর থেকে অল্প দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিতেন জাকির। পরে ‘রেন্ট-এ কার’ ব্যবসার নামে চুক্তি করে গাড়িগুলো মাসিক ভাড়ায় চালাতেন। কিছুদিন ভাড়া পরিশোধের পর তা বন্ধ করে দিতেন তিনি। পাশাপাশি আত্মসাৎ করা হতো গাড়ি কেনার অর্থ।

জাকির একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখিয়ে ৩৭ জনের কাছে সেটি বিক্রি করেছেন উল্লেখ করেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মুগদা থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়। মামলাটি ডিবি ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ৬০ থেকে ৭০টি গাড়ি দেখিয়ে বিভিন্ন পেশার তিন শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন জাকির। তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, এমনকি সংসদ সদস্যও রয়েছেন। জাকিরের ৬৭টি গাড়ি রয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ২০টি গাড়ি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে। আরও ৪০টি গাড়ির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। জাকিরের পাঁচ থেকে ছয়জন সহযোগী রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলে, প্রতারণার মাধ্যমে জাকির আনুমানিক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘আরকে মোটরস’-এর নামে এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনের নামে ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।