০৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে এস এ জাহিদ সরকার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে এস এ জাহিদ সরকার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে

S A JAHID

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ’ বলে মনে করছেন ‘আমার বাংলাদেশ’ (এবি) পার্টির সহকারি সদস্য সচিব এস এ জাহিদ সরকার । তার মতে, “এখন রাজনীতি করা মানেই হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া। গুম হয়ে যাওয়া। এমন পরিস্থিতি ও পরিণতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা নতুন দল ‘এবি পার্টি’ গঠন করেছি। কারণ, আমরা অধিকারভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।”আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে এস এ জাহিদ সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-


প্রশ্ন : এবি পার্টির সাংগঠনিক কাঠামো কোন পর্যায়ে আছে?

উত্তর : আজ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪৭ জেলা ও ১০০ টির মতো উপজেলায় কমিটি গঠন করেছি। দেশের বাইরে মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৫ টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কমিটি হয়েছে। আস্তে আস্তে আমাদের কমিটির কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দল করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এর আগে যারা নতুন দল করে আলোচনায় এসেছেন, তারা সবাই বিখ্যাত লোক ছিলেন। কিন্তু আমরা যারা দলটি করার উদ্যোগ নিয়েছি তারা কেউ বিখ্যাত নন। আমরা রাজনৈতিক কর্মী ছিলাম। 


প্রশ্ন : এবি পার্টিকে রাজপথের কর্মসূচির চাইতে ঘরোয়া কর্মসূচিতে বেশি দেখা যায়। কারণ কী ?

উত্তর : আমরা এখন দল গোছানো এবং ঘরোয়া কর্মসূচিতে আছি। এবি পার্টি রাজপথের কর্মসূচি দেওয়া থেকে বিরত আছে। প্রথমত, রাজপথে কর্মসূচি দিতে গেলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়। মাঠের কর্মসূচি তো দূরের কথা, ঘরোয়া কর্মসূচিতেও আমাদের বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ফেনীতে সন্ত্রাসী হামলা হলো। দিনাজপুর, রাজশাহীতে আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয়। তারপরও আমারা রাজপথের কর্মসূচিতে আছি।

প্রশ্ন : এস এ জাহিদ সরকার নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?

উত্তর : মারাত্মক প্রশ্ন।নির্বাচনের পূর্বে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমি আশাবাদী। কিন্তু এখন যে সরকার আছে এই সরকারের আমলে আশাবাদী নয়। সুতরাং এখন এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি,করুন জয়পুরহাট জেলার কালাই থানায় আমার বেড়ে ওঠা। আমার জয়পুরহাট-২ আসন কালাই, ক্ষেতলাল, ও আক্কেলপুর উপজেলার মানুষ আমাকে ভালোবাসে।

প্রশ্ন : এস এ জাহিদ সরকার আপনি নির্বাচনে জয়ী হলে আপনার পরবর্তী লক্ষ্য কী হবে?

উত্তর : পরবর্তী লক্ষ্য হবে আমার অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করা এবং জাতীয় সংসদে সাংবিধানিক সমস্যা গুলোর সমাধাকল্পে ভূমিকা রাখা। পাশাপাশি আমার ইচ্ছা আছে নির্বাচনী অভিজ্ঞতা নিয়ে যুব সমাজকে রাজনৈতিক বিমুখতা থেকে,রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা ।

প্রশ্ন : আমরা জানি আপনি একজন বিশিষ্ট তরুণ শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তা। সুতরাং নির্বাচনে জয়ী হলে সংসদে আপনি কি তরুণদের কথা বলবেন?

উত্তর : আমি তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে যাবো। সুতরাং তরুণদের প্রতি আমার বিশেষ দায়িত্ব থাকার কথা। আমি সেখানে আমার এলাকার মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে যাবো। সুতরাং সংসদে এলাকার সমস্যার কথাই বলব। তবে তরুণ সমস্যাকেও আমি নিশ্চয় তুলে ধরার চেষ্টা করব।


প্রশ্ন : আপনি উদ্যোক্তা হিসাবেই মানুষের  কাছে সবচেয়ে পরিচিত। কিন্তু এখন  রাজনীতিতে নামলেন কেনো?

উত্তর : আমরা অধিকারভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু মানুষ আজ তাদের সামাজিক অধিকার পাচ্ছে না । বর্তমান সরকার মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে, দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে— এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। আমার দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পাটির অধিকারভিত্তিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। এর ভেতর দিয়ে আমি আরো অনেক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী?

উত্তর : হত্যাকারীদের আমি অন্য সকল মানুষের মতোই ঘৃণা করি। বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হবেই হবে…। খুনিরা ও তাদের সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ডে দণ্ড এড়াতে পারবে না।

প্রশ্ন : ভবিষ্যতের রাজনীতির ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

উত্তর : মোট কথা সমাজ ও রাজনীতিকে কলুষ মুক্ত রাখার প্রয়োজনে আমাদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের নমনীয়তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হবে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

প্রশ্ন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবি পার্টির ভাবনা কী?

উত্তর : ২০২৩ সালে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আদৌ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি না? নাকি ২০১৮ সালের মতো আগের রাতে নির্বাচন হয়ে যাবে, নাকি বড় ধরনের নতুন কোনো ফর্মুলা হাজির হবে। হয়তো দেখা যাবে সরকারি দল ৩০০ আসনেই বিজয়ী হয়েছে!
আমাদের কথা হচ্ছে, যদি গ্রহণযোগ্য ফর্মুলায় নির্বাচন হয়, তাহলে এবি পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে। এরপর আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নেব এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করব। এক্ষেত্রে এবি পার্টির স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।নির্বাচনের বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠনের চিন্তা আছে আমাদের। এছাড়া প্রাথমিকভাবে ১০০ আসনে প্রার্থিতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এটি নিয়ে এবি পার্টি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ না হলে সেই নির্বাচনে তো অংশগ্রহণের কোনো মানেই হয় না।
আর এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের বিষয়টি নির্ভর করবে তখনকার পরিস্থিতির ওপর। যদি মনে হয় জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে সুবিধা হবে, আমরা সেভাবে করব। আমাদের প্রধান টার্গেট হলো সারাদেশের মানুষকে দেখানো যে এবি পার্টি নামে নতুন একটি দল আছে। সেক্ষেত্রে ৩০০ আসনেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আসলে সবকিছু নির্ভর করছে তখনকার পরিস্থিতির ওপর।

আরও পড়ুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে এস এ জাহিদ সরকার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে এস এ জাহিদ সরকার

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ’ বলে মনে করছেন ‘আমার বাংলাদেশ’ (এবি) পার্টির সহকারি সদস্য সচিব এস এ জাহিদ সরকার । তার মতে, “এখন রাজনীতি করা মানেই হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া। গুম হয়ে যাওয়া। এমন পরিস্থিতি ও পরিণতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা নতুন দল ‘এবি পার্টি’ গঠন করেছি। কারণ, আমরা অধিকারভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।”আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে এস এ জাহিদ সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-


প্রশ্ন : এবি পার্টির সাংগঠনিক কাঠামো কোন পর্যায়ে আছে?

উত্তর : আজ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪৭ জেলা ও ১০০ টির মতো উপজেলায় কমিটি গঠন করেছি। দেশের বাইরে মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৫ টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কমিটি হয়েছে। আস্তে আস্তে আমাদের কমিটির কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দল করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এর আগে যারা নতুন দল করে আলোচনায় এসেছেন, তারা সবাই বিখ্যাত লোক ছিলেন। কিন্তু আমরা যারা দলটি করার উদ্যোগ নিয়েছি তারা কেউ বিখ্যাত নন। আমরা রাজনৈতিক কর্মী ছিলাম। 


প্রশ্ন : এবি পার্টিকে রাজপথের কর্মসূচির চাইতে ঘরোয়া কর্মসূচিতে বেশি দেখা যায়। কারণ কী ?

উত্তর : আমরা এখন দল গোছানো এবং ঘরোয়া কর্মসূচিতে আছি। এবি পার্টি রাজপথের কর্মসূচি দেওয়া থেকে বিরত আছে। প্রথমত, রাজপথে কর্মসূচি দিতে গেলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়। মাঠের কর্মসূচি তো দূরের কথা, ঘরোয়া কর্মসূচিতেও আমাদের বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ফেনীতে সন্ত্রাসী হামলা হলো। দিনাজপুর, রাজশাহীতে আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয়। তারপরও আমারা রাজপথের কর্মসূচিতে আছি।

প্রশ্ন : এস এ জাহিদ সরকার নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?

উত্তর : মারাত্মক প্রশ্ন।নির্বাচনের পূর্বে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমি আশাবাদী। কিন্তু এখন যে সরকার আছে এই সরকারের আমলে আশাবাদী নয়। সুতরাং এখন এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি,করুন জয়পুরহাট জেলার কালাই থানায় আমার বেড়ে ওঠা। আমার জয়পুরহাট-২ আসন কালাই, ক্ষেতলাল, ও আক্কেলপুর উপজেলার মানুষ আমাকে ভালোবাসে।

প্রশ্ন : এস এ জাহিদ সরকার আপনি নির্বাচনে জয়ী হলে আপনার পরবর্তী লক্ষ্য কী হবে?

উত্তর : পরবর্তী লক্ষ্য হবে আমার অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করা এবং জাতীয় সংসদে সাংবিধানিক সমস্যা গুলোর সমাধাকল্পে ভূমিকা রাখা। পাশাপাশি আমার ইচ্ছা আছে নির্বাচনী অভিজ্ঞতা নিয়ে যুব সমাজকে রাজনৈতিক বিমুখতা থেকে,রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা ।

প্রশ্ন : আমরা জানি আপনি একজন বিশিষ্ট তরুণ শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তা। সুতরাং নির্বাচনে জয়ী হলে সংসদে আপনি কি তরুণদের কথা বলবেন?

উত্তর : আমি তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে যাবো। সুতরাং তরুণদের প্রতি আমার বিশেষ দায়িত্ব থাকার কথা। আমি সেখানে আমার এলাকার মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে যাবো। সুতরাং সংসদে এলাকার সমস্যার কথাই বলব। তবে তরুণ সমস্যাকেও আমি নিশ্চয় তুলে ধরার চেষ্টা করব।


প্রশ্ন : আপনি উদ্যোক্তা হিসাবেই মানুষের  কাছে সবচেয়ে পরিচিত। কিন্তু এখন  রাজনীতিতে নামলেন কেনো?

উত্তর : আমরা অধিকারভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু মানুষ আজ তাদের সামাজিক অধিকার পাচ্ছে না । বর্তমান সরকার মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে, দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে— এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। আমার দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পাটির অধিকারভিত্তিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। এর ভেতর দিয়ে আমি আরো অনেক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী?

উত্তর : হত্যাকারীদের আমি অন্য সকল মানুষের মতোই ঘৃণা করি। বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হবেই হবে…। খুনিরা ও তাদের সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ডে দণ্ড এড়াতে পারবে না।

প্রশ্ন : ভবিষ্যতের রাজনীতির ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

উত্তর : মোট কথা সমাজ ও রাজনীতিকে কলুষ মুক্ত রাখার প্রয়োজনে আমাদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের নমনীয়তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হবে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

প্রশ্ন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবি পার্টির ভাবনা কী?

উত্তর : ২০২৩ সালে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আদৌ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি না? নাকি ২০১৮ সালের মতো আগের রাতে নির্বাচন হয়ে যাবে, নাকি বড় ধরনের নতুন কোনো ফর্মুলা হাজির হবে। হয়তো দেখা যাবে সরকারি দল ৩০০ আসনেই বিজয়ী হয়েছে!
আমাদের কথা হচ্ছে, যদি গ্রহণযোগ্য ফর্মুলায় নির্বাচন হয়, তাহলে এবি পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে। এরপর আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নেব এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করব। এক্ষেত্রে এবি পার্টির স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।নির্বাচনের বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠনের চিন্তা আছে আমাদের। এছাড়া প্রাথমিকভাবে ১০০ আসনে প্রার্থিতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এটি নিয়ে এবি পার্টি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ না হলে সেই নির্বাচনে তো অংশগ্রহণের কোনো মানেই হয় না।
আর এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের বিষয়টি নির্ভর করবে তখনকার পরিস্থিতির ওপর। যদি মনে হয় জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে সুবিধা হবে, আমরা সেভাবে করব। আমাদের প্রধান টার্গেট হলো সারাদেশের মানুষকে দেখানো যে এবি পার্টি নামে নতুন একটি দল আছে। সেক্ষেত্রে ৩০০ আসনেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আসলে সবকিছু নির্ভর করছে তখনকার পরিস্থিতির ওপর।

আরও পড়ুন