০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

অক্সিজেনের অভাবে সিলেটে প্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে: পুলিশ সুপার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • / ১১৫১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, সিলেটের ওসমানী নগরে ‘অক্সিজেনের অভাবে’ যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে মৃত্যুর কারণ পাওয়া গেছে।

তাজপুর এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ২৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিরা ইসলাম।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টির রাসায়নিক বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম নিহত তিনজনের অবস্থা পর্যালোচনা করে। পরে তারা মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে রিপোর্ট দেন। বৃহস্পতিবার তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রথমে মানুষ ভয় পেয়েছিলেন যে বিষক্রিয়ার কারণে এ ঘটনা হতে পারে। তবে রিপোর্টে বিষ প্রয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিহত তিনজনের শরীরে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এটি একটি বদ্ধ ঘর এবং একটি বাড়িতে পাঁচজন বসবাস করত। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের ভেতরে জেনারেটর চালান। ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ ছিল। তাই জেনারেটরের ধোঁয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। দৃশ্যটির প্রথম পর্যালোচনা থেকে আমি ‘শ্বাসরোধ’ বলেছিলাম। আমরা নিশ্চিত যে তাদের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এবং ঘটনার আশপাশ।

এর আগে ২৩ আগস্ট পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জেনারেটরের ধোঁয়ায় তিন প্রবাসীর মৃত্যু এবং একই পরিবারের দুই সদস্যের অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে। . তবে ওই সময় চিকিৎসকের রিপোর্ট না আসায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার বড় দিরাই গ্রামের বাসিন্দা। যদিও তিনি অনেক আগেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। গত ১২ জুলাই স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে দেশে আসেন রফিকুল। পরে ১৮ জুলাই ওসমানী নগরের একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনারা চিকিৎসা শেষে ৩ আগস্ট বাড়ি ফেরেন

বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অক্সিজেনের অভাবে সিলেটে প্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে: পুলিশ সুপার

আপডেট সময় ০৮:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, সিলেটের ওসমানী নগরে ‘অক্সিজেনের অভাবে’ যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে মৃত্যুর কারণ পাওয়া গেছে।

তাজপুর এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ২৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিরা ইসলাম।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টির রাসায়নিক বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম নিহত তিনজনের অবস্থা পর্যালোচনা করে। পরে তারা মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে রিপোর্ট দেন। বৃহস্পতিবার তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রথমে মানুষ ভয় পেয়েছিলেন যে বিষক্রিয়ার কারণে এ ঘটনা হতে পারে। তবে রিপোর্টে বিষ প্রয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিহত তিনজনের শরীরে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এটি একটি বদ্ধ ঘর এবং একটি বাড়িতে পাঁচজন বসবাস করত। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের ভেতরে জেনারেটর চালান। ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ ছিল। তাই জেনারেটরের ধোঁয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। দৃশ্যটির প্রথম পর্যালোচনা থেকে আমি ‘শ্বাসরোধ’ বলেছিলাম। আমরা নিশ্চিত যে তাদের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এবং ঘটনার আশপাশ।

এর আগে ২৩ আগস্ট পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জেনারেটরের ধোঁয়ায় তিন প্রবাসীর মৃত্যু এবং একই পরিবারের দুই সদস্যের অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে। . তবে ওই সময় চিকিৎসকের রিপোর্ট না আসায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার বড় দিরাই গ্রামের বাসিন্দা। যদিও তিনি অনেক আগেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। গত ১২ জুলাই স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে দেশে আসেন রফিকুল। পরে ১৮ জুলাই ওসমানী নগরের একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনারা চিকিৎসা শেষে ৩ আগস্ট বাড়ি ফেরেন

বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম।