Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: ব্যর্থতার অভিযোগ তদন্ত কমিটি -BD Open News
১০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: ব্যর্থতার অভিযোগ তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ২২১১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

ঢাকার তেজগাঁওয়ে বহুতল ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করা এক স্কুলছাত্রীর পরীক্ষায় ফেল করার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে তেজগাঁও রেলস্টেশন সড়কের ১২ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন পারমিতা ফাইহা। সে হলিক্রস গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিল।

পারমিতার মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে যে, এক স্কুল শিক্ষক তাকে বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় অস্থায়ী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। পরপর দুবার ফেল করার পর পারমিতার বাবা-মাকে ফোন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ। এতে অস্বস্তিতে পড়েন পারমিতা।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে। অধিদফতরের পরিচালক অলিউল্লাহ আজমতগীর বুধবারBD OPEN NEWS

কে বলেন, পরীক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তদন্ত করবে কমিটি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক সংশ্লিষ্ট উত্তরপত্র জব্দ করে পুনঃমূল্যায়ন করবেন। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে।

অভিযোগের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পারমিতার পরিবারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বাবা মো. মাজেদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ পারমিতার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। পুলিশ ওই তরুণীর লাশ পায়নি।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রুবাইয়াত জামানBD OPEN NEWS

>কে বলেন, মেয়েটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা-মা। আমরা যতদূর জানি, মেয়েটি হাসপাতালে মারা গেছে। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পুলিশকে জানায়নি।

এডিসি রুবাইয়াত জানান, পারমিতার বাড়িতে লোকজন পাঠিয়েও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি বলেন, বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা এসে অভিযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে কি না জানতে চাইলে রুবাইয়াত জামান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা মেয়েটির বাবা-মা কেউই পুলিশকে জানায়নি। তার পরিবারের কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। একটি সূত্র জানায়, লাশ নোয়াখালী বা অন্য কোথাও গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়িতে না ঢুকে সরাসরি ১২ তলা ভবনের ছাদে চলে যান পারমিতা। সেখানে গিয়ে স্কুলের পোশাক পরে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভবনের পাশের মাঠে খেলা করছিল। পারমিতা ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তারা চিৎকার করে। এ কারণে মেয়েটি একবারের জন্যও লাফ দেয়নি। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঠিক কী কারণে পারমিতা ‘আত্মহত্যা’ করেছে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।

পুলিশ জানায়, পারমিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পারমিতা পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার বাবা মো. মাজেদ একজন ব্যবসায়ী। মায়ের নাম কামরুন নাহার। তারা তেজগাঁও রেলস্টেশন রোডে রোকেয়া কানন ভবনের ১০ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: ব্যর্থতার অভিযোগ তদন্ত কমিটি

আপডেট সময় ০৫:১৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

ঢাকার তেজগাঁওয়ে বহুতল ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করা এক স্কুলছাত্রীর পরীক্ষায় ফেল করার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে তেজগাঁও রেলস্টেশন সড়কের ১২ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন পারমিতা ফাইহা। সে হলিক্রস গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিল।

পারমিতার মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে যে, এক স্কুল শিক্ষক তাকে বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় অস্থায়ী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। পরপর দুবার ফেল করার পর পারমিতার বাবা-মাকে ফোন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ। এতে অস্বস্তিতে পড়েন পারমিতা।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে। অধিদফতরের পরিচালক অলিউল্লাহ আজমতগীর বুধবারBD OPEN NEWS

কে বলেন, পরীক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তদন্ত করবে কমিটি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক সংশ্লিষ্ট উত্তরপত্র জব্দ করে পুনঃমূল্যায়ন করবেন। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে।

অভিযোগের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পারমিতার পরিবারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বাবা মো. মাজেদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ পারমিতার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। পুলিশ ওই তরুণীর লাশ পায়নি।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রুবাইয়াত জামানBD OPEN NEWS

>কে বলেন, মেয়েটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা-মা। আমরা যতদূর জানি, মেয়েটি হাসপাতালে মারা গেছে। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পুলিশকে জানায়নি।

এডিসি রুবাইয়াত জানান, পারমিতার বাড়িতে লোকজন পাঠিয়েও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি বলেন, বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা এসে অভিযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে কি না জানতে চাইলে রুবাইয়াত জামান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা মেয়েটির বাবা-মা কেউই পুলিশকে জানায়নি। তার পরিবারের কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। একটি সূত্র জানায়, লাশ নোয়াখালী বা অন্য কোথাও গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়িতে না ঢুকে সরাসরি ১২ তলা ভবনের ছাদে চলে যান পারমিতা। সেখানে গিয়ে স্কুলের পোশাক পরে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভবনের পাশের মাঠে খেলা করছিল। পারমিতা ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তারা চিৎকার করে। এ কারণে মেয়েটি একবারের জন্যও লাফ দেয়নি। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঠিক কী কারণে পারমিতা ‘আত্মহত্যা’ করেছে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।

পুলিশ জানায়, পারমিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পারমিতা পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার বাবা মো. মাজেদ একজন ব্যবসায়ী। মায়ের নাম কামরুন নাহার। তারা তেজগাঁও রেলস্টেশন রোডে রোকেয়া কানন ভবনের ১০ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।