Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখে -BD Open News
১০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • / ২১৩৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩০,০০০ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়। সে অনুযায়ী ৪ বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখের বেশি। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার পরিকল্পনা জোরদার করতে জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার দুপুরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এদিন তার সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিবের কার্যালয়ে টাস্কফোর্সের ৩৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি জোরদার করার জন্য আমি জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি। শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবে। এ বিষয়ে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

শিগগিরই তা চূড়ান্ত করার আহ্বান জানান। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) আঞ্চলিক সমন্বয়ক ড. আমি তাকে আরও বলেছিলাম যে প্রতি বছর 30 হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে। ফলে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়ছে।

রোহিঙ্গাদের বর্তমান জনসংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা সব মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার উপস্থিতির কথা বলছিলাম। প্রতি বছর ৩০,০০০ শিশু জন্ম নেওয়ায় গত ৪ বছরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা বেড়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে এসেছে ৭৭৩ হাজার ৯৭২ জন রোহিঙ্গা। আর চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯৩৬ হাজার ৭৩৩।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা ছিল।

গতকাল জাতীয় টাস্কফোর্স সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার পাশাপাশি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘের ক্ষুদ্র প্রকল্পগুলো শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো সেখানে কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হতে পারেনি। বিশেষ করে স্থানীয় বেসরকারি সাহায্য সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের খাবার দিয়ে আসছে।

গতকালের বৈঠকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) আশ্বস্ত করেছে যে তারা শিগগিরই ভাসানচরে কাজ শুরু করবে। ফলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত ভাসানচরে খাবারের কোনো সমস্যা হবে না।

গতকাল টাস্কফোর্সের বৈঠকে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। কেজি থেকে নাইন পর্যন্ত মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে এই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে জাতিসংঘ।

নিউজটি শেয়ার করুন

চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখে

আপডেট সময় ০৪:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩০,০০০ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়। সে অনুযায়ী ৪ বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখের বেশি। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার পরিকল্পনা জোরদার করতে জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার দুপুরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এদিন তার সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিবের কার্যালয়ে টাস্কফোর্সের ৩৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি জোরদার করার জন্য আমি জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি। শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবে। এ বিষয়ে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

শিগগিরই তা চূড়ান্ত করার আহ্বান জানান। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) আঞ্চলিক সমন্বয়ক ড. আমি তাকে আরও বলেছিলাম যে প্রতি বছর 30 হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে। ফলে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়ছে।

রোহিঙ্গাদের বর্তমান জনসংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা সব মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার উপস্থিতির কথা বলছিলাম। প্রতি বছর ৩০,০০০ শিশু জন্ম নেওয়ায় গত ৪ বছরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা বেড়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে এসেছে ৭৭৩ হাজার ৯৭২ জন রোহিঙ্গা। আর চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯৩৬ হাজার ৭৩৩।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা ছিল।

গতকাল জাতীয় টাস্কফোর্স সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার পাশাপাশি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘের ক্ষুদ্র প্রকল্পগুলো শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো সেখানে কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হতে পারেনি। বিশেষ করে স্থানীয় বেসরকারি সাহায্য সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের খাবার দিয়ে আসছে।

গতকালের বৈঠকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) আশ্বস্ত করেছে যে তারা শিগগিরই ভাসানচরে কাজ শুরু করবে। ফলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত ভাসানচরে খাবারের কোনো সমস্যা হবে না।

গতকাল টাস্কফোর্সের বৈঠকে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। কেজি থেকে নাইন পর্যন্ত মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে এই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে জাতিসংঘ।