Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সমস্যা দেখছেন মোসাদ্দেক -BD Open News
১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সমস্যা দেখছেন মোসাদ্দেক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৩০৯ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

১৫তম ওভারে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন নাসুম আহমেদ। ম্যাচ শেষে ৩৪ রানের ওই ওভার নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলেছেন দুই অধিনায়ক। তবে এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মোসাদ্দেক হোসেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পেছনে অন্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, মধ্য ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে যেমন আছে বোলিংয়েও তেমন।

সিরিজের তিন ম্যাচেই প্রথম বোলিং করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ওয়েসলি মাধেভারের সঙ্গে শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার জুটির কাছে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেদিন মাঝ ওভারে উইকেট কিপিং করে রান রেট বাড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আজ অবশ্য ১৩তম ওভারে ৬ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে রায়ান বার্ল ও লুক জাঙ্গুর জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। এর পরই নাসুমের ওভার।

ব্যাটিংয়ের দিক থেকে প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস মাত্র ১৩ রান করলেও বল নষ্ট করেননি। তার স্ট্রাইক রেট 200-এর বেশি। কিন্তু আফিফ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান রান ও বলের সংখ্যা মেলাতে পারেননি। টপ-অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা উইকেট হারানো এবং রান-রেট বৃদ্ধির দ্বিমুখী চাপের মধ্যে ছিল। সবাই এটা হারিয়েছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব সমস্যা নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, আমরা মধ্য ওভারে ম্যাচ থেকে প্রত্যাহার করছি। বোলিং দেখলে মনে হয়, মাঝ ওভারে আমরা উইকেট পাচ্ছি না। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। মাঝামাঝি ওভারগুলোতে যেভাবে খেলা উচিত ছিল সেভাবে হচ্ছে না। যে কারণে শেষের দিকে আমরা চাপে আছি।” ব্যাটিং পরিকল্পনার অভাব, মোসাদ্দেকও স্বীকার করলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে খুব দ্রুত উইকেট হারালে রান তাড়া করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। খেলা এখানে গণনা করা আবশ্যক. ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা তা করতে পারিনি, যার কারণে আমরা ম্যাচ হেরেছি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ টানা চারটি সিরিজ জিততে পারেনি (৩ হার, একটি ড্র)। এরই ধারাবাহিকতায় ‘জয়গান’ গেয়ে নতুন সিরিজে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ বলেছিলেন, ৩-০ ব্যবধানে হারলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে হারের ধরন আবারও প্রশ্ন চিহ্ন দিয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যের সামনে।

তবে মোসাদ্দেক দাবি করছেন, শেষ ম্যাচ ছাড়া সবকিছুই তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো করার আশাও তার, ‘দেখেন, এখানে আসার আগে যেমন পরিকল্পনা করেছিলাম- কত রান করতে চাই। এই ম্যাচ বাদে সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চলছিল। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টিতে সামনে বিশ্বকাপ; সাকিব ভাই আসবে, আরো খেলোয়াড় আসবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা ভালো করব। এর আগে অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজের আগে যেমন আশা ছিল, তেমনি মোসাদ্দেকও প্রতিধ্বনিত হলেন, “সবাই জানে ওয়ানডেতে আমরা কতটা ভালো।” ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৩-০ গোলে। আমরা আত্মবিশ্বাসী.’

নিউজটি শেয়ার করুন

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সমস্যা দেখছেন মোসাদ্দেক

আপডেট সময় ০৬:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

১৫তম ওভারে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন নাসুম আহমেদ। ম্যাচ শেষে ৩৪ রানের ওই ওভার নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলেছেন দুই অধিনায়ক। তবে এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মোসাদ্দেক হোসেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পেছনে অন্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, মধ্য ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে যেমন আছে বোলিংয়েও তেমন।

সিরিজের তিন ম্যাচেই প্রথম বোলিং করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ওয়েসলি মাধেভারের সঙ্গে শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার জুটির কাছে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেদিন মাঝ ওভারে উইকেট কিপিং করে রান রেট বাড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আজ অবশ্য ১৩তম ওভারে ৬ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে রায়ান বার্ল ও লুক জাঙ্গুর জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। এর পরই নাসুমের ওভার।

ব্যাটিংয়ের দিক থেকে প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস মাত্র ১৩ রান করলেও বল নষ্ট করেননি। তার স্ট্রাইক রেট 200-এর বেশি। কিন্তু আফিফ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান রান ও বলের সংখ্যা মেলাতে পারেননি। টপ-অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা উইকেট হারানো এবং রান-রেট বৃদ্ধির দ্বিমুখী চাপের মধ্যে ছিল। সবাই এটা হারিয়েছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব সমস্যা নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, আমরা মধ্য ওভারে ম্যাচ থেকে প্রত্যাহার করছি। বোলিং দেখলে মনে হয়, মাঝ ওভারে আমরা উইকেট পাচ্ছি না। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। মাঝামাঝি ওভারগুলোতে যেভাবে খেলা উচিত ছিল সেভাবে হচ্ছে না। যে কারণে শেষের দিকে আমরা চাপে আছি।” ব্যাটিং পরিকল্পনার অভাব, মোসাদ্দেকও স্বীকার করলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে খুব দ্রুত উইকেট হারালে রান তাড়া করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। খেলা এখানে গণনা করা আবশ্যক. ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা তা করতে পারিনি, যার কারণে আমরা ম্যাচ হেরেছি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ টানা চারটি সিরিজ জিততে পারেনি (৩ হার, একটি ড্র)। এরই ধারাবাহিকতায় ‘জয়গান’ গেয়ে নতুন সিরিজে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ বলেছিলেন, ৩-০ ব্যবধানে হারলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে হারের ধরন আবারও প্রশ্ন চিহ্ন দিয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যের সামনে।

তবে মোসাদ্দেক দাবি করছেন, শেষ ম্যাচ ছাড়া সবকিছুই তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো করার আশাও তার, ‘দেখেন, এখানে আসার আগে যেমন পরিকল্পনা করেছিলাম- কত রান করতে চাই। এই ম্যাচ বাদে সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চলছিল। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টিতে সামনে বিশ্বকাপ; সাকিব ভাই আসবে, আরো খেলোয়াড় আসবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা ভালো করব। এর আগে অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজের আগে যেমন আশা ছিল, তেমনি মোসাদ্দেকও প্রতিধ্বনিত হলেন, “সবাই জানে ওয়ানডেতে আমরা কতটা ভালো।” ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৩-০ গোলে। আমরা আত্মবিশ্বাসী.’