Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
ডলারের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা -BD Open News
১০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ডলারের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

মার্কিন ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগে ছিল ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রিজার্ভ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার নতুন দামে বিক্রি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন হারকে আন্তঃব্যাংক রেট বলছে।

অবশ্য ব্যাংকগুলোতে এই দামে কোনো ডলার লেনদেন হচ্ছে না। সংকটের কারণে গতকাল ব্যাংকগুলো ১০০ টাকার বেশি দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে। একই মূল্যে আমদানিকারকরা তাদের বকেয়া পরিশোধ করেছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দামের ব্যবধান রয়ে গেছে ৫ টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম BD OPEN NEWS

কে বলেন, ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। নতুন মূল্যে $7 মিলিয়ন বিক্রি হয়েছে।

ডলার সংকট নিরসনে গত বৃহস্পতিবার একসঙ্গে চারটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলি হল ব্যাঙ্কগুলির ডলার হোল্ডিং লিমিট (NOP) হ্রাস করা, রপ্তানিকারক প্রত্যাবর্তন কোটায় (ERQ) ডলার হোল্ডিংয়ের 50 শতাংশ নগদীকরণ, ERQ হিসাবে আমানতের সীমা অর্ধেক করা এবং অফশোর ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল দেশীয় ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলিতে স্থানান্তর করা। এছাড়া ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের যে কোনো বেসরকারি আমদানি পত্র (এলসি) খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে সংকট কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের ফলে, অনেক রপ্তানিকারক তাদের রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করছে। আমদানি ঋণ পরিশোধের জন্য এসব ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। একইভাবে, অনেক ব্যাংক তাদের কাছে রাখা ডলারও বিক্রি করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইআরকিউ-তে ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৪৪ মিলিয়ন ডলার জমা ছিল। এর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত রপ্তানিকারকরা ২৪৭ মিলিয়ন ডলার ছেড়েছেন। ভবিষ্যতে তাদের আরও ডলার বিক্রি করতে হবে।

দেশে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সার্বিক আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। আবার রপ্তানি বাড়লেও আমদানির মতো নয়। প্রবাসী আয় বাড়েনি, বরং কমেছে। ফলে দেশে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার দাম বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডলারের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

মার্কিন ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগে ছিল ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রিজার্ভ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার নতুন দামে বিক্রি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন হারকে আন্তঃব্যাংক রেট বলছে।

অবশ্য ব্যাংকগুলোতে এই দামে কোনো ডলার লেনদেন হচ্ছে না। সংকটের কারণে গতকাল ব্যাংকগুলো ১০০ টাকার বেশি দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে। একই মূল্যে আমদানিকারকরা তাদের বকেয়া পরিশোধ করেছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দামের ব্যবধান রয়ে গেছে ৫ টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম BD OPEN NEWS

কে বলেন, ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। নতুন মূল্যে $7 মিলিয়ন বিক্রি হয়েছে।

ডলার সংকট নিরসনে গত বৃহস্পতিবার একসঙ্গে চারটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলি হল ব্যাঙ্কগুলির ডলার হোল্ডিং লিমিট (NOP) হ্রাস করা, রপ্তানিকারক প্রত্যাবর্তন কোটায় (ERQ) ডলার হোল্ডিংয়ের 50 শতাংশ নগদীকরণ, ERQ হিসাবে আমানতের সীমা অর্ধেক করা এবং অফশোর ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল দেশীয় ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলিতে স্থানান্তর করা। এছাড়া ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের যে কোনো বেসরকারি আমদানি পত্র (এলসি) খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে সংকট কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের ফলে, অনেক রপ্তানিকারক তাদের রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করছে। আমদানি ঋণ পরিশোধের জন্য এসব ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। একইভাবে, অনেক ব্যাংক তাদের কাছে রাখা ডলারও বিক্রি করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইআরকিউ-তে ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৪৪ মিলিয়ন ডলার জমা ছিল। এর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত রপ্তানিকারকরা ২৪৭ মিলিয়ন ডলার ছেড়েছেন। ভবিষ্যতে তাদের আরও ডলার বিক্রি করতে হবে।

দেশে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সার্বিক আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। আবার রপ্তানি বাড়লেও আমদানির মতো নয়। প্রবাসী আয় বাড়েনি, বরং কমেছে। ফলে দেশে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার দাম বেড়েছে।