Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
প্রথম এবং দ্বিতীয়টি একই, তবে শীর্ষ 50-এর প্রত্যেকেরই একই ক্ষমতা রয়েছে -BD Open News
১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

প্রথম এবং দ্বিতীয়টি একই, তবে শীর্ষ 50-এর প্রত্যেকেরই একই ক্ষমতা রয়েছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • / ২৪০২ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বলা হয় মেধাবীদের আসন। দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এই প্রকৌশল শিক্ষার স্কুলে। আপনি চাইলেই এখানে ভর্তি হতে পারবেন না। মেধা পরীক্ষা দিয়েই এখানে পড়ার সুযোগ পেতে হবে। দুই ধাপের এই ভর্তি পরীক্ষায় সেরাদের সেরা হয়েছেন আসির আনজুম খান। বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আসির সম্প্রতি প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে অবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায় অষ্টম হয়েছেন তিনি। আসির আনজুম খান BD OPEN NEWS

বলেন, তার স্বপ্ন বুয়েটে পড়ার এবং সে বুয়েটে ভর্তি হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বুয়েটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে 18 জুন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট 2,126 জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে এবং ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এর মধ্যে ১ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এবার বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে হয়। এর মধ্যে ৪ জুন প্রাক-নির্বাচন পরীক্ষায় ১৬ হাজার ৩৪ জন অংশগ্রহণ করে। এতে উত্তীর্ণ প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়।

ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আসির আনজুম খানের বাড়িতে দুই প্রকৌশলী রয়েছেন। তিনিBD OPEN NEWS

বলেন, তার বাবা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। আর তার বড় ভাই আসির ইন্তিসার খান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রভাষক। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।

আসির আঞ্জুম খানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পড়াশোনায় তার ওপর তার বড় ভাইয়ের ভালো প্রভাব ছিল। আসির আনজুম খান রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। আর এখন সে বুয়েটে পড়তে যাচ্ছে। তার বড় ভাইও নটরডেম কলেজে পড়েন। তিনি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় ১৮তম হন এবং ইইই পাস করে সেখানে শিক্ষক হন।

আসির আনজুম খান বলেন, ‘আমার ভাই ইইইতে পড়েছে এবং আমিও ইইইতে পড়তে চাই। আমার ভাই আমার পড়ার অনুপ্রেরণা। বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন আগে থেকেই ছিল। ‘

এই স্বপ্ন পূরণের প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি পাঠ্যপুস্তকের ওপর জোর দিয়েছেন। স্পষ্ট ধারণা থাকার ওপর জোর দেন তিনি। এবং তিনি আরও বেশি করে গণিত অনুশীলন করার চেষ্টা করেছিলেন। অবশ্য কোচিংও করেছেন।

আসির আনজুম খান একটা কথাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার ভাষ্য, এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা আসলে সার্বিক সাফল্যের নির্ধারক নাও হতে পারে।

অনেকেই ভর্তি পরীক্ষা দেয়, কিন্তু সবাই সমানভাবে ভালো করতে পারে না। অনুষ্ঠানে আসির আনজুম খান বলেন, প্রত্যেকেরই কমবেশি সীমাবদ্ধতা থাকে।

আমারও আছে. তবুও আমি সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। যাইহোক, এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা ভর্তি পরীক্ষা সত্যিই সার্বিক সাফল্যের নির্ধারক নয়। এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার পরীক্ষা যেকোনো কিছু হতে পারে। তাই আমরা এখানে থামতে পারি না। উল্টো সামনে অনেক বড় সময় আছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে ভালো কিছু ঘটবে ইনশাআল্লাহ। আসলে ভর্তি পরীক্ষায় যারা প্রথম ও দ্বিতীয় হয় তাদের মধ্যে ঝগড়া বেশি হয়। তবে আমি মনে করি শীর্ষ 50-এর প্রত্যেকেরই একই ক্ষমতা রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার দিন হয়তো প্রথম-দ্বিতীয় ছাত্রের ভাগ্য ভালো ছিল, কিন্তু স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে ছিল। ‘

ভালো ফল হবে বলে আশাবাদী ছিলেন আসির আনজুম খান। সেটাই হয়েছে। তাই ফল প্রকাশের পর খুব খুশি। বাবা, মা, বড় ভাইসহ পরিবারের সবাই খুশি। তাদের খুশিতে তিনিও খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি যাদের সঙ্গে পড়াশোনা করেছি তাদেরও আমার কাছে প্রত্যাশা ছিল। চাওয়া-পাওয়া করতে পেরেছি, সেটাও বড় হচ্ছে। ‘

মেধাবী ছাত্র আছির আঞ্জুমের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায়। তবে তার বাবার জন্ম কুমিল্লায়। আর স্কুল-কলেজ পড়াশুনা তো ঢাকাতেই। তিনি বলেন, তিনি নিয়মিত প্রথম আলো পড়েন। তিনি খেলার পাতা পছন্দ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রথম এবং দ্বিতীয়টি একই, তবে শীর্ষ 50-এর প্রত্যেকেরই একই ক্ষমতা রয়েছে

আপডেট সময় ০৩:৪৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বলা হয় মেধাবীদের আসন। দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এই প্রকৌশল শিক্ষার স্কুলে। আপনি চাইলেই এখানে ভর্তি হতে পারবেন না। মেধা পরীক্ষা দিয়েই এখানে পড়ার সুযোগ পেতে হবে। দুই ধাপের এই ভর্তি পরীক্ষায় সেরাদের সেরা হয়েছেন আসির আনজুম খান। বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আসির সম্প্রতি প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে অবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায় অষ্টম হয়েছেন তিনি। আসির আনজুম খান BD OPEN NEWS

বলেন, তার স্বপ্ন বুয়েটে পড়ার এবং সে বুয়েটে ভর্তি হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বুয়েটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে 18 জুন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট 2,126 জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে এবং ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এর মধ্যে ১ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এবার বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে হয়। এর মধ্যে ৪ জুন প্রাক-নির্বাচন পরীক্ষায় ১৬ হাজার ৩৪ জন অংশগ্রহণ করে। এতে উত্তীর্ণ প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়।

ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আসির আনজুম খানের বাড়িতে দুই প্রকৌশলী রয়েছেন। তিনিBD OPEN NEWS

বলেন, তার বাবা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। আর তার বড় ভাই আসির ইন্তিসার খান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রভাষক। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।

আসির আঞ্জুম খানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পড়াশোনায় তার ওপর তার বড় ভাইয়ের ভালো প্রভাব ছিল। আসির আনজুম খান রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। আর এখন সে বুয়েটে পড়তে যাচ্ছে। তার বড় ভাইও নটরডেম কলেজে পড়েন। তিনি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় ১৮তম হন এবং ইইই পাস করে সেখানে শিক্ষক হন।

আসির আনজুম খান বলেন, ‘আমার ভাই ইইইতে পড়েছে এবং আমিও ইইইতে পড়তে চাই। আমার ভাই আমার পড়ার অনুপ্রেরণা। বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন আগে থেকেই ছিল। ‘

এই স্বপ্ন পূরণের প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি পাঠ্যপুস্তকের ওপর জোর দিয়েছেন। স্পষ্ট ধারণা থাকার ওপর জোর দেন তিনি। এবং তিনি আরও বেশি করে গণিত অনুশীলন করার চেষ্টা করেছিলেন। অবশ্য কোচিংও করেছেন।

আসির আনজুম খান একটা কথাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার ভাষ্য, এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা আসলে সার্বিক সাফল্যের নির্ধারক নাও হতে পারে।

অনেকেই ভর্তি পরীক্ষা দেয়, কিন্তু সবাই সমানভাবে ভালো করতে পারে না। অনুষ্ঠানে আসির আনজুম খান বলেন, প্রত্যেকেরই কমবেশি সীমাবদ্ধতা থাকে।

আমারও আছে. তবুও আমি সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। যাইহোক, এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা ভর্তি পরীক্ষা সত্যিই সার্বিক সাফল্যের নির্ধারক নয়। এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার পরীক্ষা যেকোনো কিছু হতে পারে। তাই আমরা এখানে থামতে পারি না। উল্টো সামনে অনেক বড় সময় আছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে ভালো কিছু ঘটবে ইনশাআল্লাহ। আসলে ভর্তি পরীক্ষায় যারা প্রথম ও দ্বিতীয় হয় তাদের মধ্যে ঝগড়া বেশি হয়। তবে আমি মনে করি শীর্ষ 50-এর প্রত্যেকেরই একই ক্ষমতা রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার দিন হয়তো প্রথম-দ্বিতীয় ছাত্রের ভাগ্য ভালো ছিল, কিন্তু স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে ছিল। ‘

ভালো ফল হবে বলে আশাবাদী ছিলেন আসির আনজুম খান। সেটাই হয়েছে। তাই ফল প্রকাশের পর খুব খুশি। বাবা, মা, বড় ভাইসহ পরিবারের সবাই খুশি। তাদের খুশিতে তিনিও খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি যাদের সঙ্গে পড়াশোনা করেছি তাদেরও আমার কাছে প্রত্যাশা ছিল। চাওয়া-পাওয়া করতে পেরেছি, সেটাও বড় হচ্ছে। ‘

মেধাবী ছাত্র আছির আঞ্জুমের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায়। তবে তার বাবার জন্ম কুমিল্লায়। আর স্কুল-কলেজ পড়াশুনা তো ঢাকাতেই। তিনি বলেন, তিনি নিয়মিত প্রথম আলো পড়েন। তিনি খেলার পাতা পছন্দ করেন।