Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
কাঁদলেন বিবি হাওয়া "যেখানে আমি যাচ্ছি?"-BD Open News
০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

কাঁদলেন বিবি হাওয়া “যেখানে আমি যাচ্ছি?”

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / ১৮৮১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

আফগানিস্তানের পাট্টিকা প্রদেশের রাজধানী শরণে হাসপাতালের বিছানায় কাঁদছিলেন বিবি হাওয়া। ভূমিকম্পে তিনি তার পরিবারের ১২ সদস্যকে হারিয়েছেন। শূকর চিৎকার করে বললো, ‘আমি কোথায় যাচ্ছি? যেখানে আমি যাচ্ছি? ‘

হাসপাতালের নার্স বিবি হাওয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। বিবি বলছিলেন, আমার মন ভেঙে গেছে।

গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তান অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এএফপি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। তবে রয়টার্স এর মাত্রা ৭.১ বলে উল্লেখ করেছে।

আফগানিস্তানের কট্টরপন্থী সরকার এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

হাসপাতালের যে কক্ষে বিবি হাওয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, সেখানে পাশের বেডে আরও অনেক নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের একজন শাহমিরা। ভূমিকম্পে তিনি গুরুতর আহত হননি। কোলে শুয়ে ছিল তার এক বছরের নাতি। তিনি ভূমিকম্পে আহত হয়েছিলেন এবং তার কপালে একটি বড় ব্যান্ডেজ ছিল।

শাহমীরার পাশের খাটে ঘুমাচ্ছে তার আরেক নাতনি। তিনিও ভূমিকম্পে আহত হন। আরেক ছেলেকে আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শাহমিরা এএফপিকে বলেন, “ভূমিকম্পের শব্দে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।” ভূমিকম্পের শব্দে আমি চিৎকার করে উঠলাম। আমি ভেবেছিলাম আমার পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। আমিই হয়তো একমাত্র বেঁচে আছি। ‘

হাসপাতালের পাশের ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এক বাবা তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন। ছেলেটির পায়ে প্লাস্টার করুন।

পাশেই নীল কম্বলের নিচে শুয়ে ছিল আরেক শিশু। কপালে সাদা ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। সেখানে কালো কালিতে লেখা ‘জরুরি’। একটা হাত ভেঙে গেছে। ভূমিকম্পের সময় বর্ণনা করতে গিয়ে 22 বছর বয়সী আরাপ খান বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ। সর্বত্র চিৎকার আর কান্না।’

সারান হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ওয়ার বলেন, তারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তিনি এএফপিকে বলেন, যখন ক্ষতিগ্রস্তরা সেখানে পৌঁছান তখন শুধু কান্নার শব্দ শোনা যায়।

ইয়াহিয়া বলেন, আমাদের দেশ দরিদ্র। সম্পদ দুষ্প্রাপ্য। এটা একটা মানবিক বিপর্যয়। “

হাসপাতালের পরিচালক ইয়াহিয়া বলেন, স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন। রক্ত দিতে হাসপাতালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মানুষ। তালেবানের একজন সদস্য জানিয়েছেন, সকাল থেকে প্রায় ৩০০ মানুষ রক্ত ​​দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাঁদলেন বিবি হাওয়া “যেখানে আমি যাচ্ছি?”

আপডেট সময় ০৯:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

আফগানিস্তানের পাট্টিকা প্রদেশের রাজধানী শরণে হাসপাতালের বিছানায় কাঁদছিলেন বিবি হাওয়া। ভূমিকম্পে তিনি তার পরিবারের ১২ সদস্যকে হারিয়েছেন। শূকর চিৎকার করে বললো, ‘আমি কোথায় যাচ্ছি? যেখানে আমি যাচ্ছি? ‘

হাসপাতালের নার্স বিবি হাওয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। বিবি বলছিলেন, আমার মন ভেঙে গেছে।

গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তান অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এএফপি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। তবে রয়টার্স এর মাত্রা ৭.১ বলে উল্লেখ করেছে।

আফগানিস্তানের কট্টরপন্থী সরকার এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

হাসপাতালের যে কক্ষে বিবি হাওয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, সেখানে পাশের বেডে আরও অনেক নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের একজন শাহমিরা। ভূমিকম্পে তিনি গুরুতর আহত হননি। কোলে শুয়ে ছিল তার এক বছরের নাতি। তিনি ভূমিকম্পে আহত হয়েছিলেন এবং তার কপালে একটি বড় ব্যান্ডেজ ছিল।

শাহমীরার পাশের খাটে ঘুমাচ্ছে তার আরেক নাতনি। তিনিও ভূমিকম্পে আহত হন। আরেক ছেলেকে আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শাহমিরা এএফপিকে বলেন, “ভূমিকম্পের শব্দে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।” ভূমিকম্পের শব্দে আমি চিৎকার করে উঠলাম। আমি ভেবেছিলাম আমার পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। আমিই হয়তো একমাত্র বেঁচে আছি। ‘

হাসপাতালের পাশের ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এক বাবা তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন। ছেলেটির পায়ে প্লাস্টার করুন।

পাশেই নীল কম্বলের নিচে শুয়ে ছিল আরেক শিশু। কপালে সাদা ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। সেখানে কালো কালিতে লেখা ‘জরুরি’। একটা হাত ভেঙে গেছে। ভূমিকম্পের সময় বর্ণনা করতে গিয়ে 22 বছর বয়সী আরাপ খান বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ। সর্বত্র চিৎকার আর কান্না।’

সারান হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ওয়ার বলেন, তারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তিনি এএফপিকে বলেন, যখন ক্ষতিগ্রস্তরা সেখানে পৌঁছান তখন শুধু কান্নার শব্দ শোনা যায়।

ইয়াহিয়া বলেন, আমাদের দেশ দরিদ্র। সম্পদ দুষ্প্রাপ্য। এটা একটা মানবিক বিপর্যয়। “

হাসপাতালের পরিচালক ইয়াহিয়া বলেন, স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন। রক্ত দিতে হাসপাতালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মানুষ। তালেবানের একজন সদস্য জানিয়েছেন, সকাল থেকে প্রায় ৩০০ মানুষ রক্ত ​​দিয়েছেন।