Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: অস্ত্র মোল্লা শামীমের-BD Open News
০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: অস্ত্র মোল্লা শামীমের

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১৮৩৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

মোল্লা শামীম নামে এক যুবকের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি ব্যস্ত সড়কে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুমন সিকদার ওরফে মুসা ওমান থেকে দেশে ফেরার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সুমন সিকদারের তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন পুরানা পল্টনের একটি অস্ত্রের দোকানের মালিক ইমরান হোসেন (৩২), পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদের সহযোগী ইশতিয়াক আহমেদ (জিতু) এবং মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা রাকিবুর রহমান (রাকিব)। আদালতের অনুমতিক্রমে তিনজনই বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। এছাড়া শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় সুমন সিকদারকেও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (টিপু)কে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় রিকশায় বসা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হন। হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সুমন সিকদারকে ৯ জুন ওমান থেকে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।

তদন্তে জড়িত গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার প্রথম আলো</em>কে বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি ঢাকার অপরাধ জগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ সরবরাহ করেছিলেন। প্লট চূড়ান্ত করার পর তার নির্দেশে ইশতিয়াক আহমেদ অস্ত্রটি সুমন শিকদারের হাতে তুলে দেন। পরে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমরান হোসেনের দোকান থেকে গুলি নিয়ে সুমন সিকদারের কাছে পৌঁছে দেন।

শাহজাহানপুর এলাকার বাসিন্দা মোল্লা শামীমের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন সুমন সিকদার। ঘটনার দিন মোল্লা শামীমের মোটর সাইকেলের পেছনে তার বন্ধু মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ গুলি করে। হত্যার তিন দিন পর মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর মোল্লা শামীম ভারতে চলে যায়।

পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে নেপাল ও ভুটানে যান বলে জানা গেছে। তবে শামীম বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। শামীম হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি কোথাও ফেলে গেছে। তাকে আটক করতে না পারায় অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মামলায় সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ১৪ মে রাতে মালিবাগের সানরাইজ হোটেলে দুই পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত তার সঙ্গে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: অস্ত্র মোল্লা শামীমের

আপডেট সময় ০৪:২৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

মোল্লা শামীম নামে এক যুবকের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি ব্যস্ত সড়কে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুমন সিকদার ওরফে মুসা ওমান থেকে দেশে ফেরার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সুমন সিকদারের তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন পুরানা পল্টনের একটি অস্ত্রের দোকানের মালিক ইমরান হোসেন (৩২), পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদের সহযোগী ইশতিয়াক আহমেদ (জিতু) এবং মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা রাকিবুর রহমান (রাকিব)। আদালতের অনুমতিক্রমে তিনজনই বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। এছাড়া শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় সুমন সিকদারকেও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (টিপু)কে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় রিকশায় বসা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হন। হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সুমন সিকদারকে ৯ জুন ওমান থেকে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।

তদন্তে জড়িত গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার প্রথম আলো</em>কে বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি ঢাকার অপরাধ জগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ সরবরাহ করেছিলেন। প্লট চূড়ান্ত করার পর তার নির্দেশে ইশতিয়াক আহমেদ অস্ত্রটি সুমন শিকদারের হাতে তুলে দেন। পরে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমরান হোসেনের দোকান থেকে গুলি নিয়ে সুমন সিকদারের কাছে পৌঁছে দেন।

শাহজাহানপুর এলাকার বাসিন্দা মোল্লা শামীমের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন সুমন সিকদার। ঘটনার দিন মোল্লা শামীমের মোটর সাইকেলের পেছনে তার বন্ধু মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ গুলি করে। হত্যার তিন দিন পর মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর মোল্লা শামীম ভারতে চলে যায়।

পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে নেপাল ও ভুটানে যান বলে জানা গেছে। তবে শামীম বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। শামীম হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি কোথাও ফেলে গেছে। তাকে আটক করতে না পারায় অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মামলায় সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ১৪ মে রাতে মালিবাগের সানরাইজ হোটেলে দুই পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত তার সঙ্গে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।