Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন  -BD Open News
০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • / ২১০১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা জামিনে পলাতক রয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- মোঃ মুরাদ, জাকির হোসেন, মোঃ কামাল, আলমগীর হোসেন, মোঃ রিপন ও মোঃ পতাকা। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পারিবারিক ও হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, আহসান উল্লাহ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। সে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার হাবুল্লায় একটি ফলের দোকানে কাজ করত। 25 জুলাই, 2014 দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আসামিরা তার মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে তার পেটে ও পিঠে গুলি করে। পরে আহসান উল্লাহর ছেলে ও স্ত্রীর স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু তারা কাউকে চিনতে পারেনি। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্লাহর পাশে আসামির একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আহসান উল্লাহকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ২৬ জুলাই তার ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৬ জুন ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর মো. কামাল ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা পলাতক। আসামি পরে জামিনে পালিয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন 

আপডেট সময় ০৭:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা জামিনে পলাতক রয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- মোঃ মুরাদ, জাকির হোসেন, মোঃ কামাল, আলমগীর হোসেন, মোঃ রিপন ও মোঃ পতাকা। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পারিবারিক ও হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, আহসান উল্লাহ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। সে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার হাবুল্লায় একটি ফলের দোকানে কাজ করত। 25 জুলাই, 2014 দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আসামিরা তার মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে তার পেটে ও পিঠে গুলি করে। পরে আহসান উল্লাহর ছেলে ও স্ত্রীর স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু তারা কাউকে চিনতে পারেনি। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্লাহর পাশে আসামির একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আহসান উল্লাহকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ২৬ জুলাই তার ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৬ জুন ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর মো. কামাল ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা পলাতক। আসামি পরে জামিনে পালিয়ে যায়।