Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
সচ্ছলতায় ফিরতে সৌদি আরবে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান রাকিবুল - Open News
১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সচ্ছলতায় ফিরতে সৌদি আরবে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান রাকিবুল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
  • / ১৯৯২ বার পড়া হয়েছে

রকিবুল ইসলাম (২২) দেশে থাকতেই বিয়ে করেন। বিয়ের দেড় বছর পর রকিবুলের ঘরে আলো করে একটি ছেলের জন্ম হয়। ছেলে ও তার পরিবারের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ১৪ দিন আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু রোববার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান রকিবুল। তার মৃত্যুর খবরে আত্মীয়-স্বজনরা শোকাহত।

রাকিবুল ইসলাম ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের গাঙ্গিনা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. চান মিয়ার ছেলে।

এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চান মিয়া স্থানীয় বীজের দোকানের বাজারে একটি চায়ের দোকান চালান। ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন লাখ টাকা ধার নিতে হয়েছে। আশা ছিল ছেলের আয়ের টাকা দিয়ে পরিবারের সব ঋণও শোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তার আশা ভেস্তে গেল। এছাড়া কর্মরত ছেলেকে হারানো ও ঋণের চিন্তায় প্রায় পাগল মিয়া।

চাঁন মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, “রকিবুল গত ১ জুন সৌদি আরবের রিয়াদে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতে আসেন। সেখান থেকে তাকে তায়েফ শহরে পাঠানো হয়। তায়েফ পৌঁছে তিনি ফোন করে বলেন, তিনি যোগ দেবেন। কাজ।গত শনিবার বিকেলে বাড়িতে ফোন করে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন।তিনি জানান, গতকাল তার ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।খবরটি তার কাছে বজ্রপাতের মতো শোনাল।এটা দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু সে বুঝতে পারেনি।

রাকিবুলের ছোট ভাই সাকিবুল ইসলাম জানান, তার সৌদি চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ফোনে রাকিবুলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই এই খবরের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ভাই তার পরিবারকে সাহায্য করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এখন ভাইয়ের লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আমি জানি না সেখানে কি হয়েছে। ‘

রাকিবুলের শ্যালক মো. জীবন মিয়া জানান, তার শ্বশুরবাড়ির কোনো জমি নেই। চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকা থেকে টাকা ধার করে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠায়। কিন্তু ছেলেকে হারিয়ে শাশুড়ি এখন প্রায় পাগল।

সৌদি চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, গাড়ির ধাক্কায় রকিবুল নিহত হওয়ার পর রিক্রুটিং কর্তৃপক্ষ ফোনে তার (রাকিবুল) বাবাকে বিষয়টি জানায়। পরে সৌদিতে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

সচ্ছলতায় ফিরতে সৌদি আরবে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান রাকিবুল

আপডেট সময় ০৫:২০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

রকিবুল ইসলাম (২২) দেশে থাকতেই বিয়ে করেন। বিয়ের দেড় বছর পর রকিবুলের ঘরে আলো করে একটি ছেলের জন্ম হয়। ছেলে ও তার পরিবারের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ১৪ দিন আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু রোববার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান রকিবুল। তার মৃত্যুর খবরে আত্মীয়-স্বজনরা শোকাহত।

রাকিবুল ইসলাম ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের গাঙ্গিনা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. চান মিয়ার ছেলে।

এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চান মিয়া স্থানীয় বীজের দোকানের বাজারে একটি চায়ের দোকান চালান। ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন লাখ টাকা ধার নিতে হয়েছে। আশা ছিল ছেলের আয়ের টাকা দিয়ে পরিবারের সব ঋণও শোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তার আশা ভেস্তে গেল। এছাড়া কর্মরত ছেলেকে হারানো ও ঋণের চিন্তায় প্রায় পাগল মিয়া।

চাঁন মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, “রকিবুল গত ১ জুন সৌদি আরবের রিয়াদে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতে আসেন। সেখান থেকে তাকে তায়েফ শহরে পাঠানো হয়। তায়েফ পৌঁছে তিনি ফোন করে বলেন, তিনি যোগ দেবেন। কাজ।গত শনিবার বিকেলে বাড়িতে ফোন করে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন।তিনি জানান, গতকাল তার ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।খবরটি তার কাছে বজ্রপাতের মতো শোনাল।এটা দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু সে বুঝতে পারেনি।

রাকিবুলের ছোট ভাই সাকিবুল ইসলাম জানান, তার সৌদি চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ফোনে রাকিবুলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই এই খবরের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ভাই তার পরিবারকে সাহায্য করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এখন ভাইয়ের লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আমি জানি না সেখানে কি হয়েছে। ‘

রাকিবুলের শ্যালক মো. জীবন মিয়া জানান, তার শ্বশুরবাড়ির কোনো জমি নেই। চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকা থেকে টাকা ধার করে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠায়। কিন্তু ছেলেকে হারিয়ে শাশুড়ি এখন প্রায় পাগল।

সৌদি চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, গাড়ির ধাক্কায় রকিবুল নিহত হওয়ার পর রিক্রুটিং কর্তৃপক্ষ ফোনে তার (রাকিবুল) বাবাকে বিষয়টি জানায়। পরে সৌদিতে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবার।