Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
ওমান থেকে মুসাকে নিয়ে দেশে ফিরেছে পুলিশ - Open News
০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

ওমান থেকে মুসাকে নিয়ে দেশে ফিরেছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • / ১৯৯০ বার পড়া হয়েছে

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (টিপু) হত্যার সন্দেহভাজন মাস্টারমাইন্ড সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে নিয়ে ফিরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ কর্মকর্তাদের দলটি দেশে ফিরেছে।

পুলিশ সদর দফতরের জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওমান থেকে ফ্লাইটটি প্রথমে চট্টগ্রামে আসে। পুলিশের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে এসে আমাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ‘

গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় মতিঝিল এলাকায় দল ও অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে রিকশায় বসা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হন।

সুমন সিকদারকে ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের পুলিশের একটি দল রোববার ওমানে যায়। এর আগে 10 মে, পুলিশ সদর দফতরে জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যুরো (এনসিবি) ওমান এনসিবিকে সুমন সিকদারকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেছিল। ১৭ মে তাকে গ্রেফতার করে ওমান পুলিশ।

ডিবি জানায়, সুমন শিকদারের বিরুদ্ধে মিরপুরের মতিঝিল ও পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। সে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য। মতিঝিল এজিবি কলোনিতে যুবলীগ নেতা রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন সিকদার। রিজভী হাসান হত্যা মামলার বাদী তার বাবা আবুল কালাম। এই আবুল কালাম আবার জাহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। সুমন সিকদারসহ আসামিরা রিজভী হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করতে জাহিদুলের কাছে গেলেও ব্যর্থ হন।

তদন্তকারী পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, রিজভী হাসান হত্যা মামলার আসামিকে তার দলীয় প্রতিপক্ষ জাহিদুলকে হত্যার কাজে ব্যবহার করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, জাহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তিন-চার মাস আগে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মতিঝিল ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম সদস্য সুমন সিকদারের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তিনি প্রথমে সুমন সিকদারকে ৯ লাখ টাকা দেন। গত ১২ মার্চ টাকা নিয়ে দুবাই চলে যান সুমন সিকদার ওরফে মুসা।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ দুবাই পুলিশের মাধ্যমে সুমন সিকদারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝে ওমানের উদ্দেশ্যে দুবাই ত্যাগ করেন। পরে ওমান পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ তাকে শনাক্ত করে।

মামলায় এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সুমন সিকদারের জবানবন্দিতে উঠে আসে ‘শুটার’ মাসুম মোহাম্মদ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ওমান থেকে মুসাকে নিয়ে দেশে ফিরেছে পুলিশ

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (টিপু) হত্যার সন্দেহভাজন মাস্টারমাইন্ড সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে নিয়ে ফিরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ কর্মকর্তাদের দলটি দেশে ফিরেছে।

পুলিশ সদর দফতরের জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওমান থেকে ফ্লাইটটি প্রথমে চট্টগ্রামে আসে। পুলিশের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে এসে আমাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ‘

গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় মতিঝিল এলাকায় দল ও অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে রিকশায় বসা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হন।

সুমন সিকদারকে ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের পুলিশের একটি দল রোববার ওমানে যায়। এর আগে 10 মে, পুলিশ সদর দফতরে জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যুরো (এনসিবি) ওমান এনসিবিকে সুমন সিকদারকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেছিল। ১৭ মে তাকে গ্রেফতার করে ওমান পুলিশ।

ডিবি জানায়, সুমন শিকদারের বিরুদ্ধে মিরপুরের মতিঝিল ও পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। সে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য। মতিঝিল এজিবি কলোনিতে যুবলীগ নেতা রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন সিকদার। রিজভী হাসান হত্যা মামলার বাদী তার বাবা আবুল কালাম। এই আবুল কালাম আবার জাহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। সুমন সিকদারসহ আসামিরা রিজভী হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করতে জাহিদুলের কাছে গেলেও ব্যর্থ হন।

তদন্তকারী পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, রিজভী হাসান হত্যা মামলার আসামিকে তার দলীয় প্রতিপক্ষ জাহিদুলকে হত্যার কাজে ব্যবহার করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, জাহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তিন-চার মাস আগে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মতিঝিল ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম সদস্য সুমন সিকদারের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তিনি প্রথমে সুমন সিকদারকে ৯ লাখ টাকা দেন। গত ১২ মার্চ টাকা নিয়ে দুবাই চলে যান সুমন সিকদার ওরফে মুসা।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ দুবাই পুলিশের মাধ্যমে সুমন সিকদারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝে ওমানের উদ্দেশ্যে দুবাই ত্যাগ করেন। পরে ওমান পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ তাকে শনাক্ত করে।

মামলায় এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সুমন সিকদারের জবানবন্দিতে উঠে আসে ‘শুটার’ মাসুম মোহাম্মদ।