০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

32 কেজি সোনা কে এনেছে?

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • / ১১৬৪ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

25 জানুয়ারী, 2016, মালয়েশিয়া থেকে মালিন্দো এয়ারের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই বিমানটিতে সোনার একটি বড় চালান এসেছে বলে কাস্টমস স্লেথদের কাছে তথ্য ছিল।

এরপর কাস্টমস এজেন্টরা বিমানে প্রবেশ করেন। পাইলটের উপস্থিতিতে বিমানের 4টি আসনের পিছনে লুকিয়ে রাখা 32 কেজি সোনা উদ্ধার করে গোয়েন্দারা।

তবে ঘটনার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মালিন্দোর ফ্লাইটে কে ৩২ কেজি সোনা দেশে এনেছে তা জানা যায়নি। সোনা উদ্ধারের মামলাটি প্রথমে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ তদন্ত করে (তিন মাস)। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।

তবে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে সিআইডি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি সংগঠনটি। ফলস্বরূপ, মামলা থেকে 9 জনকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সিআইডি 2019 সালের জানুয়ারিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। আদালত পিবিআইকে আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআই প্রায় তিন বছর ধরে তদন্ত করেও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। গত জুন মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। কিন্তু এখনো শোনা যায়নি।

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। এ জন্য আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটের 24-A, 24-B, 26-E এবং 26-F আসনের পিছনে 32.62 কেজি সোনা বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব আসনে কোনো যাত্রী ছিল না।

সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম ও যাত্রীদের ঠিকানা চেয়ে তারা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে। তবে সিভিল এভিয়েশন সিআইডিকে জানিয়েছে যে নথিগুলি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর শরীফ বলেন, অনেক চেষ্টা করেও প্রকৃত সোনা চোরাকারবারিদের গ্রেফতার করতে পারিনি।

পরে তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ বিমানের মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ঝন্টু চন্দ্র বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, সোনা চোরাকারবারিদের সঙ্গে ঝন্টুর সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ঝন্টু ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।

সোনা চোরাচালানের এত বড় ঘটনার তদন্তে সিআইডি ও পিবিআইয়ের ব্যর্থতা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) তাপস কুমার পাল।

নিউজটি শেয়ার করুন

32 কেজি সোনা কে এনেছে?

আপডেট সময় ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

25 জানুয়ারী, 2016, মালয়েশিয়া থেকে মালিন্দো এয়ারের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই বিমানটিতে সোনার একটি বড় চালান এসেছে বলে কাস্টমস স্লেথদের কাছে তথ্য ছিল।

এরপর কাস্টমস এজেন্টরা বিমানে প্রবেশ করেন। পাইলটের উপস্থিতিতে বিমানের 4টি আসনের পিছনে লুকিয়ে রাখা 32 কেজি সোনা উদ্ধার করে গোয়েন্দারা।

তবে ঘটনার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মালিন্দোর ফ্লাইটে কে ৩২ কেজি সোনা দেশে এনেছে তা জানা যায়নি। সোনা উদ্ধারের মামলাটি প্রথমে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ তদন্ত করে (তিন মাস)। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।

তবে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে সিআইডি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি সংগঠনটি। ফলস্বরূপ, মামলা থেকে 9 জনকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সিআইডি 2019 সালের জানুয়ারিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। আদালত পিবিআইকে আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআই প্রায় তিন বছর ধরে তদন্ত করেও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। গত জুন মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। কিন্তু এখনো শোনা যায়নি।

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। এ জন্য আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটের 24-A, 24-B, 26-E এবং 26-F আসনের পিছনে 32.62 কেজি সোনা বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব আসনে কোনো যাত্রী ছিল না।

সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম ও যাত্রীদের ঠিকানা চেয়ে তারা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে। তবে সিভিল এভিয়েশন সিআইডিকে জানিয়েছে যে নথিগুলি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর শরীফ বলেন, অনেক চেষ্টা করেও প্রকৃত সোনা চোরাকারবারিদের গ্রেফতার করতে পারিনি।

পরে তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ বিমানের মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ঝন্টু চন্দ্র বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, সোনা চোরাকারবারিদের সঙ্গে ঝন্টুর সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ঝন্টু ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।

সোনা চোরাচালানের এত বড় ঘটনার তদন্তে সিআইডি ও পিবিআইয়ের ব্যর্থতা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) তাপস কুমার পাল।