Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
১০টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, আরও অবনতির আশঙ্কা-BD Open News
০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

১০টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, আরও অবনতির আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
  • / ২০১৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

টানা বর্ষণ ও বর্ষণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকায় ইতিমধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে।

সিলেট ও ​​রংপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপুবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

শুক্রবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল হাতিয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদী পাটেশ্বরী পয়েন্ট থেকে 9 সেমি উপরে উঠেছে। ধরলার পানির সমতল কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানির সমতল ডালিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১০৭ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১২০ সেমি প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া সারিঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি ২৩ নম্বর সারিঘাটে এবং পুরাতন সুরমা নদীর পানি দিরাই পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লোরেরগড়ে জাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলাকান্দা পয়েন্টে ৫৭ এবং ভূগাই নদী নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থার গাণিতিক মডেল পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী 72 ঘন্টার মধ্যে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব এবং পার্শ্ববর্তী আসাম, মেঘালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশে কিছু জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

১০টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, আরও অবনতির আশঙ্কা

আপডেট সময় ০৩:০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

টানা বর্ষণ ও বর্ষণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকায় ইতিমধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে।

সিলেট ও ​​রংপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপুবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

শুক্রবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল হাতিয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদী পাটেশ্বরী পয়েন্ট থেকে 9 সেমি উপরে উঠেছে। ধরলার পানির সমতল কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানির সমতল ডালিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১০৭ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১২০ সেমি প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া সারিঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি ২৩ নম্বর সারিঘাটে এবং পুরাতন সুরমা নদীর পানি দিরাই পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লোরেরগড়ে জাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলাকান্দা পয়েন্টে ৫৭ এবং ভূগাই নদী নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থার গাণিতিক মডেল পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী 72 ঘন্টার মধ্যে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব এবং পার্শ্ববর্তী আসাম, মেঘালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশে কিছু জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।