Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
হালাল বিনিয়োগ: ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ - Open News
১২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
হালাল বিনিয়োগের বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম

হালাল বিনিয়োগ: ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৯৭ বার পড়া হয়েছে

হালাল বিনিয়োগ: ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ

হালাল বিনিয়োগ অর্থাৎ শরিয়াহ্‌সম্মত পদ্ধতিতে অর্থ বিনিয়োগ করা ইসলামী অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এমন একটি পন্থা যেখানে সুদ, জুয়া, প্রতারণা এবং হারাম ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থেকে বিনিয়োগ করা হয়। হালাল বিনিয়োগের মূল ভিত্তি হলো—ন্যায়, পারস্পরিক সম্মান এবং প্রকৃত ঝুঁকি ও লাভ-লোকসানের অংশীদারিত্ব।

একজন বিনিয়োগকারী যখন হালাল ভিত্তিতে কোনো ব্যবসায় অর্থ দেয়, তখন সে নির্ধারিত সুদের পরিবর্তে প্রকৃত লাভ থেকে একটি অংশ পায়। এতে ব্যবসার প্রকৃত ঝুঁকি ও সাফল্যের সঙ্গে বিনিয়োগকারীর সম্পর্ক তৈরি হয়। মুদারাবা, মুশারাকা, এবং প্রফিট-শেয়ারিং মডেল—এইসব পদ্ধতি হালাল বিনিয়োগে বেশি ব্যবহৃত হয়।

বর্তমান বিশ্বে হালাল বিনিয়োগ কেবল ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, বরং একটি টেকসই ও নৈতিক অর্থনৈতিক মডেল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এতে সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে হালাল বিনিয়োগের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

বাংলাদেশেও এ ধরণের বিনিয়োগের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপরা ক্রাউড ফান্ডিং ও প্রফিট-শেয়ারিং মডেলের মাধ্যমে হালাল পদ্ধতিতে বিনিয়োগ আহ্বান করছে, যা ইসলামী মূল্যবোধ বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

হালাল বিনিয়োগ শুধু উপার্জনের একটি মাধ্যম নয়, বরং এটি একটি জীবনদর্শন—যেখানে আস্থা, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা রয়েছে একসাথে।

হালাল বিনিয়োগের বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম
 

image

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হালাল বিনিয়োগের বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম

হালাল বিনিয়োগ: ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ

আপডেট সময় ০১:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

হালাল বিনিয়োগ: ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ

হালাল বিনিয়োগ অর্থাৎ শরিয়াহ্‌সম্মত পদ্ধতিতে অর্থ বিনিয়োগ করা ইসলামী অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এমন একটি পন্থা যেখানে সুদ, জুয়া, প্রতারণা এবং হারাম ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থেকে বিনিয়োগ করা হয়। হালাল বিনিয়োগের মূল ভিত্তি হলো—ন্যায়, পারস্পরিক সম্মান এবং প্রকৃত ঝুঁকি ও লাভ-লোকসানের অংশীদারিত্ব।

একজন বিনিয়োগকারী যখন হালাল ভিত্তিতে কোনো ব্যবসায় অর্থ দেয়, তখন সে নির্ধারিত সুদের পরিবর্তে প্রকৃত লাভ থেকে একটি অংশ পায়। এতে ব্যবসার প্রকৃত ঝুঁকি ও সাফল্যের সঙ্গে বিনিয়োগকারীর সম্পর্ক তৈরি হয়। মুদারাবা, মুশারাকা, এবং প্রফিট-শেয়ারিং মডেল—এইসব পদ্ধতি হালাল বিনিয়োগে বেশি ব্যবহৃত হয়।

বর্তমান বিশ্বে হালাল বিনিয়োগ কেবল ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, বরং একটি টেকসই ও নৈতিক অর্থনৈতিক মডেল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এতে সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে হালাল বিনিয়োগের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

বাংলাদেশেও এ ধরণের বিনিয়োগের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপরা ক্রাউড ফান্ডিং ও প্রফিট-শেয়ারিং মডেলের মাধ্যমে হালাল পদ্ধতিতে বিনিয়োগ আহ্বান করছে, যা ইসলামী মূল্যবোধ বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

হালাল বিনিয়োগ শুধু উপার্জনের একটি মাধ্যম নয়, বরং এটি একটি জীবনদর্শন—যেখানে আস্থা, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা রয়েছে একসাথে।

হালাল বিনিয়োগের বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম
 

image