Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা - Open News
০৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা, মঙ্গলবার:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান ও আদিভা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন এবং অভিযোগ:

দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী জানান, মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান এই আবেদনের মাধ্যমে আদালতে জানান,

  • নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন এবং বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে।
  • অভিযোগ রয়েছে যে, ভিন্ন কোন উৎস অর্থাৎ ঘুস বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে তার উৎস আড়াল করার জন্য এই অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং-এর শামিল।
  • এছাড়াও, নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের দুই সদস্যবিশিষ্ট টিম গঠন করা হয়েছে।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারণ:

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা যদি বিদেশে পালিয়ে যান, তাহলে অনুসন্ধানের কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন বলে আদালতে উল্লেখ করা হয়।

আদালতের আদেশ:

আদালত আবেদনের ভিত্তিতে নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ:

এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে দুদক পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এই রায়ের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে অগ্রসর হয়, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ১০:০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা, মঙ্গলবার:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান ও আদিভা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন এবং অভিযোগ:

দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী জানান, মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান এই আবেদনের মাধ্যমে আদালতে জানান,

  • নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন এবং বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে।
  • অভিযোগ রয়েছে যে, ভিন্ন কোন উৎস অর্থাৎ ঘুস বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে তার উৎস আড়াল করার জন্য এই অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং-এর শামিল।
  • এছাড়াও, নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের দুই সদস্যবিশিষ্ট টিম গঠন করা হয়েছে।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারণ:

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা যদি বিদেশে পালিয়ে যান, তাহলে অনুসন্ধানের কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন বলে আদালতে উল্লেখ করা হয়।

আদালতের আদেশ:

আদালত আবেদনের ভিত্তিতে নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ:

এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে দুদক পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এই রায়ের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে অগ্রসর হয়, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল রয়েছে।