Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
ভোটাররা না এলে গণতন্ত্র অসুস্থ: সিইসি -BD Open News
০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ভোটাররা না এলে গণতন্ত্র অসুস্থ: সিইসি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • / ১৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটাররা কিছুটা নিরুৎসাহিত হয়েছেন। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে ভোটারদের অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে। তারা ভোটকেন্দ্রে না এলে বোঝা যাবে গণতন্ত্র অসুস্থ, গণতন্ত্র মরছে।

রোববার নির্বাচন ভবনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি আমাদের কী ক্ষমতা আছে। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের ক্ষমতার মধ্যেই আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। চার পক্ষের সঙ্গে আজ সংলাপের সময়সূচি ঠিক হয়েছে। এদিকে সংলাপে অংশ নেয়নি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ পৃথক সময়ে সংলাপে অংশ নেয়।

আজ বিকেলে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জাসদ সংলাপে অংশ নেয়। বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন যথাসময়ে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়াই ইসির দায়িত্ব। যে কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বাদ দেওয়া একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। নির্বাচন কমিশনকে কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানো বা কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বাদ দেওয়াসহ মতামত, বিবৃতি, মন্তব্য করা উচিত নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশী সংস্থা নয়।

জাসদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নির্বাচনের বিষয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিক কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করা উচিত নয়। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং অযৌক্তিকভাবে ইসির কাজ দেখে বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক নাক তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এ ধরনের অযৌক্তিক ছিনতাইকে ক্ষমা করা উচিত নয়।

জাসদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বিদেশি কূটনীতিকরা ইসির সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে তারা ইসিকে কোনো পরামর্শ দেননি।

রাজনৈতিক বিষয়ে ইসি যেন সালিশ না করে, জাসদের প্রস্তাবের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব। তবে আমরা স্পষ্ট বলেছি, কাউকে জোর করে নির্বাচনে আসতে পারি না। এটা আমাদের দায়িত্ব নয়। একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো আমাদের দায়িত্ব।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংবিধান ও আইনে ইসিকে দেওয়া ক্ষমতাই যথেষ্ট। তারপরও কোনো ফাঁকফোকর থাকলে তা নিয়ে কাজ করছেন তারা। দলগুলো সহযোগিতা না করে আইন প্রয়োগের বিরোধিতা করলে ইসির জন্য কঠিন হবে।

এর আগে খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেন, তারা সব দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করছেন। অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাতিলের দাবি

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল, রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারীর বিধান বাতিল, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে ইসির অধীনে আনাসহ ৪০ দফা প্রস্তাব পেশ করে খিলাফত। নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা চালু করা। আন্দোলন

অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন একদিনে না করে তিন দিনে ভোটগ্রহণসহ ৯ দফা প্রস্তাব করেছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোটাররা না এলে গণতন্ত্র অসুস্থ: সিইসি

আপডেট সময় ০২:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটাররা কিছুটা নিরুৎসাহিত হয়েছেন। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে ভোটারদের অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে। তারা ভোটকেন্দ্রে না এলে বোঝা যাবে গণতন্ত্র অসুস্থ, গণতন্ত্র মরছে।

রোববার নির্বাচন ভবনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি আমাদের কী ক্ষমতা আছে। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের ক্ষমতার মধ্যেই আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। চার পক্ষের সঙ্গে আজ সংলাপের সময়সূচি ঠিক হয়েছে। এদিকে সংলাপে অংশ নেয়নি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ পৃথক সময়ে সংলাপে অংশ নেয়।

আজ বিকেলে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জাসদ সংলাপে অংশ নেয়। বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন যথাসময়ে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়াই ইসির দায়িত্ব। যে কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বাদ দেওয়া একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। নির্বাচন কমিশনকে কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানো বা কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বাদ দেওয়াসহ মতামত, বিবৃতি, মন্তব্য করা উচিত নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশী সংস্থা নয়।

জাসদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নির্বাচনের বিষয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিক কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করা উচিত নয়। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং অযৌক্তিকভাবে ইসির কাজ দেখে বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক নাক তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এ ধরনের অযৌক্তিক ছিনতাইকে ক্ষমা করা উচিত নয়।

জাসদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বিদেশি কূটনীতিকরা ইসির সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে তারা ইসিকে কোনো পরামর্শ দেননি।

রাজনৈতিক বিষয়ে ইসি যেন সালিশ না করে, জাসদের প্রস্তাবের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব। তবে আমরা স্পষ্ট বলেছি, কাউকে জোর করে নির্বাচনে আসতে পারি না। এটা আমাদের দায়িত্ব নয়। একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো আমাদের দায়িত্ব।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংবিধান ও আইনে ইসিকে দেওয়া ক্ষমতাই যথেষ্ট। তারপরও কোনো ফাঁকফোকর থাকলে তা নিয়ে কাজ করছেন তারা। দলগুলো সহযোগিতা না করে আইন প্রয়োগের বিরোধিতা করলে ইসির জন্য কঠিন হবে।

এর আগে খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেন, তারা সব দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করছেন। অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাতিলের দাবি

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল, রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারীর বিধান বাতিল, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে ইসির অধীনে আনাসহ ৪০ দফা প্রস্তাব পেশ করে খিলাফত। নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা চালু করা। আন্দোলন

অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন একদিনে না করে তিন দিনে ভোটগ্রহণসহ ৯ দফা প্রস্তাব করেছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।