Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
বাবার খুনিদের শাস্তি দিতে ছেলে আইনজীবী হয়-BD Open News
১১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

বাবার খুনিদের শাস্তি দিতে ছেলে আইনজীবী হয়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • / ১৮৬৪ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

হোশেইন মোহাম্মদ এরশাদ যখন তার বাবা নুরুল কবির নিহত হন তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তারা এক ধরনের হতাশার মধ্যে পড়ে যায়। বাড়িতে ক্রমাগত অভাব। সে অবস্থায় মামলা করা দূরে থাক, পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছিলেন এরশাদ। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। পড়াশোনা চালিয়ে যান। বাবার খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি আইনের ডিগ্রি নেন।

অবশেষে কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। প্রায় ২২ বছর পর আজ সোমবার হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আদালত চার আসামিকে জীবন দিয়েছেন। আর এরশাদ নিজেও আইনজীবী হিসেবে সে মামলায় লড়েছেন। অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়ায় তিনি খুশি। মা খালেদা ইয়াসমিনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে খুশি খুশি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে লোহাগড়া উপজেলার আধুনগর রুস্তম পাড়ার আজলা পুকুর পাড়ে নুরুল কবির (৪৫) খুন হন। সৌদি প্রবাসী নুরুল কবিরকে খুন করেছে তার বড় ভাই ও তিন ভাগ্নে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

এ ঘটনায় নিহত নুরুল কবিরের স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ২০০০ সালের ২১ ডিসেম্বর চার্জশিট জারি করা হয়। ২০০৩ সালের ১৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৭ জন সাক্ষী ও ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে নুরুল ইসলাম ও তার তিন ছেলে ওসমান গণি, সারোয়ার কামাল ও আব্বাস উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

বাবাকে হত্যার কারণ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, “বাবা সৌদি আরবে থাকাকালীন তার বড় ভাইকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু জেঠা ও তার ছেলেরা টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খেতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাবা চলে আসেন। বিদেশ থেকে। টাকা পরিশোধে সালিশ হয়।কিন্তু টাকা না দিয়ে বাবাকে মেরে ফেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাবার খুনিদের শাস্তি দিতে ছেলে আইনজীবী হয়

আপডেট সময় ০৪:২৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

হোশেইন মোহাম্মদ এরশাদ যখন তার বাবা নুরুল কবির নিহত হন তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তারা এক ধরনের হতাশার মধ্যে পড়ে যায়। বাড়িতে ক্রমাগত অভাব। সে অবস্থায় মামলা করা দূরে থাক, পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছিলেন এরশাদ। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। পড়াশোনা চালিয়ে যান। বাবার খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি আইনের ডিগ্রি নেন।

অবশেষে কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। প্রায় ২২ বছর পর আজ সোমবার হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আদালত চার আসামিকে জীবন দিয়েছেন। আর এরশাদ নিজেও আইনজীবী হিসেবে সে মামলায় লড়েছেন। অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়ায় তিনি খুশি। মা খালেদা ইয়াসমিনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে খুশি খুশি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে লোহাগড়া উপজেলার আধুনগর রুস্তম পাড়ার আজলা পুকুর পাড়ে নুরুল কবির (৪৫) খুন হন। সৌদি প্রবাসী নুরুল কবিরকে খুন করেছে তার বড় ভাই ও তিন ভাগ্নে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

এ ঘটনায় নিহত নুরুল কবিরের স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ২০০০ সালের ২১ ডিসেম্বর চার্জশিট জারি করা হয়। ২০০৩ সালের ১৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৭ জন সাক্ষী ও ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে নুরুল ইসলাম ও তার তিন ছেলে ওসমান গণি, সারোয়ার কামাল ও আব্বাস উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

বাবাকে হত্যার কারণ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, “বাবা সৌদি আরবে থাকাকালীন তার বড় ভাইকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু জেঠা ও তার ছেলেরা টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খেতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাবা চলে আসেন। বিদেশ থেকে। টাকা পরিশোধে সালিশ হয়।কিন্তু টাকা না দিয়ে বাবাকে মেরে ফেলে।