Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনেছেন ডিসিরা: নির্বাচন প্রসঙ্গে আকবর আলী খান -BD Open News
০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনেছেন ডিসিরা: নির্বাচন প্রসঙ্গে আকবর আলী খান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১৯১৯ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেছেন, বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের জনগণ পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনে নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল ডিসিকে বিশ্বাস করে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিকদের (সুজন) অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে এক অতিথির বক্তব্যে আকবর আলী খান একথা বলেন। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আকবর আলী খান বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে নির্বাচন নিয়ে এমন প্রশ্ন নেই। ভারতে, যারা নির্বাচনী রিটার্নিং অফিসার হন তারা প্রশাসনের কর্মকর্তা। বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস এখন এতটাই দুর্বল যে কোনো রাজনৈতিক দলই ডিসিকে বিশ্বাস করে না।

আকবর আলি খান বলেন, ভারতে নির্বাচন চলে দুই-তিন মাস। ডিসির কাছে ব্যালট বাক্স আছে। বাংলাদেশে কি এমন একজন ডিসি থাকতে পারে যিনি এক রাতের জন্য ব্যালট বাক্স রাখতে রাজি হবেন? তারা পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনে নিয়েছে। তাদের সেই সাহস নেই।

আকবর আলী খান বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সুশীল সমাজের কাজ হচ্ছে জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা। সুশীল সমাজ গণতন্ত্রের সাথে গভীরভাবে জড়িত। সুশীল সমাজ না থাকলে গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সরকার বলছে সুজন শুধু সরকারের সমালোচনা করে; সুজন যদি সরকারের প্রশংসা করেন, তাহলে কার সমালোচনা করবেন? যারা সমালোচনা করে তারা বন্ধু, শত্রু নয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মনে করেন, দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ১০ থেকে ১৫ বছরের উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, সুশাসন ও যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণের দাবি পূরণ না হলে আগামী ৫০ বছরেও এসব সংস্কার হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু জনগণই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

সুজনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, যে কোনো শাসনব্যবস্থায় টেকসই দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল শর্ত হলো শাসনের সব স্তরে কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইদানীং কেউ কেউ বলেছেন আগে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তারপর গণতন্ত্র, এটা কাজের কথা নয়। শিক্ষার মান উন্নয়নের পরিবর্তে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহযোগিতার মতো সামাজিক পুঁজির ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার পরিবর্তে অগ্রগতি হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও ধনী শ্রেণীর সমাজে আবির্ভাব হয়েছে, কিন্তু তাদের অনুসরণ করার মতো বৈশিষ্ট্য নেই। তরুণদের সামনে কোনো আদর্শ ব্যক্তিত্ব নেই। অনিয়ম, দুর্নীতি, পেশিশক্তির উত্থান সামাজিক পুঁজিকে নষ্ট করে দিয়েছে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তি উদ্যোগ পিছিয়ে এবং সামাজিক উদ্যোগের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। মানবাধিকার রক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, পরিবেশ রক্ষা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংগঠিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সুজনের মতো সংগঠন শাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, দেশের সুশীল সমাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সুশাসনের মতো গণতন্ত্রের নানা বিষয়ে দেশ পিছিয়ে আছে। ডিজিটালাইজেশন ক্ষুদ্র দুর্নীতি কমিয়েছে, কিন্তু বড় দুর্নীতি বন্ধ করেনি, বরং বড় দুর্নীতিকে আলিঙ্গন করেছে। প্রতিবাদ প্রক্রিয়া শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আরও কার্যকর হবে।

জাতীয় সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার বিষয়ে ২১ দফা জাতীয় সনদ উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়েছে, বিরোধী রাজনীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দায়মুক্তি সর্বত্র। সীমাহীন দুর্নীতি একটি বৈষম্যমূলক সমাজ তৈরি করেছে। ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার মারাত্মকভাবে খর্ব করা হয়। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না পারলে একটি জটিল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সংকট উত্তরণ এবং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য গড়ে তুলতে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সংলাপ আয়োজনের সময় এসেছে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সনদ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হবে স্বল্পমেয়াদী নির্বাচনী সরকার গঠন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজনের সহ-সভাপতি হামিদা হোসেন। সুজনের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, নির্বাহী সদস্য বিচারপতি আবদুল মতিন, আলী ইমাম মজুমদার, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন খ

নিউজটি শেয়ার করুন

পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনেছেন ডিসিরা: নির্বাচন প্রসঙ্গে আকবর আলী খান

আপডেট সময় ০১:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেছেন, বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের জনগণ পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনে নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল ডিসিকে বিশ্বাস করে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিকদের (সুজন) অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে এক অতিথির বক্তব্যে আকবর আলী খান একথা বলেন। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আকবর আলী খান বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে নির্বাচন নিয়ে এমন প্রশ্ন নেই। ভারতে, যারা নির্বাচনী রিটার্নিং অফিসার হন তারা প্রশাসনের কর্মকর্তা। বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস এখন এতটাই দুর্বল যে কোনো রাজনৈতিক দলই ডিসিকে বিশ্বাস করে না।

আকবর আলি খান বলেন, ভারতে নির্বাচন চলে দুই-তিন মাস। ডিসির কাছে ব্যালট বাক্স আছে। বাংলাদেশে কি এমন একজন ডিসি থাকতে পারে যিনি এক রাতের জন্য ব্যালট বাক্স রাখতে রাজি হবেন? তারা পক্ষপাতিত্বের কুখ্যাতি কিনে নিয়েছে। তাদের সেই সাহস নেই।

আকবর আলী খান বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সুশীল সমাজের কাজ হচ্ছে জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা। সুশীল সমাজ গণতন্ত্রের সাথে গভীরভাবে জড়িত। সুশীল সমাজ না থাকলে গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সরকার বলছে সুজন শুধু সরকারের সমালোচনা করে; সুজন যদি সরকারের প্রশংসা করেন, তাহলে কার সমালোচনা করবেন? যারা সমালোচনা করে তারা বন্ধু, শত্রু নয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মনে করেন, দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ১০ থেকে ১৫ বছরের উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, সুশাসন ও যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণের দাবি পূরণ না হলে আগামী ৫০ বছরেও এসব সংস্কার হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু জনগণই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

সুজনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, যে কোনো শাসনব্যবস্থায় টেকসই দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল শর্ত হলো শাসনের সব স্তরে কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইদানীং কেউ কেউ বলেছেন আগে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তারপর গণতন্ত্র, এটা কাজের কথা নয়। শিক্ষার মান উন্নয়নের পরিবর্তে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহযোগিতার মতো সামাজিক পুঁজির ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার পরিবর্তে অগ্রগতি হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও ধনী শ্রেণীর সমাজে আবির্ভাব হয়েছে, কিন্তু তাদের অনুসরণ করার মতো বৈশিষ্ট্য নেই। তরুণদের সামনে কোনো আদর্শ ব্যক্তিত্ব নেই। অনিয়ম, দুর্নীতি, পেশিশক্তির উত্থান সামাজিক পুঁজিকে নষ্ট করে দিয়েছে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তি উদ্যোগ পিছিয়ে এবং সামাজিক উদ্যোগের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। মানবাধিকার রক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, পরিবেশ রক্ষা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংগঠিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সুজনের মতো সংগঠন শাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, দেশের সুশীল সমাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সুশাসনের মতো গণতন্ত্রের নানা বিষয়ে দেশ পিছিয়ে আছে। ডিজিটালাইজেশন ক্ষুদ্র দুর্নীতি কমিয়েছে, কিন্তু বড় দুর্নীতি বন্ধ করেনি, বরং বড় দুর্নীতিকে আলিঙ্গন করেছে। প্রতিবাদ প্রক্রিয়া শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আরও কার্যকর হবে।

জাতীয় সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার বিষয়ে ২১ দফা জাতীয় সনদ উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়েছে, বিরোধী রাজনীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দায়মুক্তি সর্বত্র। সীমাহীন দুর্নীতি একটি বৈষম্যমূলক সমাজ তৈরি করেছে। ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার মারাত্মকভাবে খর্ব করা হয়। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না পারলে একটি জটিল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সংকট উত্তরণ এবং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য গড়ে তুলতে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সংলাপ আয়োজনের সময় এসেছে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সনদ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হবে স্বল্পমেয়াদী নির্বাচনী সরকার গঠন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজনের সহ-সভাপতি হামিদা হোসেন। সুজনের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, নির্বাহী সদস্য বিচারপতি আবদুল মতিন, আলী ইমাম মজুমদার, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন খ