Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
তিস্তার পানি বিপদে, নিচু এলাকা প্লাবিত -BD Open News
০৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

তিস্তার পানি বিপদে, নিচু এলাকা প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / ২০৯২ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

তিস্তার পানি এখন বিপদে পড়েছে। রোববার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। যে কোনো মুহূর্তে এটি বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যেই দ্রুত বাড়তে থাকা তিস্তার পানি ঢুকে পড়েছে চর এলাকা ও নিচু এলাকায়। ঘরে পানি ঢুকছে। বাদামসহ আবাদি ফসল ডুবে গেছে। বড় বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, টানা বৃষ্টি ও বর্ষণে বুধবার রাত ৯টা থেকে তিস্তায় পানির স্তর বাড়তে শুরু করেছে। সেই সময় থেকে রবিবার সকাল 6 টায় এটি 51.83 থেকে 52.45 সেন্টিমিটারে বেড়েছে। যা বিপদসীমা 52.60 থেকে মাত্র 15 সেন্টিমিটার নিচে। এ কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং কোনো কোনো স্থানে তা যেকোনো মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৬ জুন সকাল ৬টা থেকে ১২ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ছাতনা এলাকা থেকে জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী, সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, ডন। এতে এসব এলাকার বাদাম, আমন চারা, পাট ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট পানিতে ভেসে যাচ্ছে। বড় বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তার তীরবর্তী মানুষ।

এদিকে সুশাসনের জন্য সুজন রংপুর মহাগর কমিটির সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বন্যার আগাম প্রস্তুতির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিস্তার পানি বিপদে, নিচু এলাকা প্লাবিত

আপডেট সময় ০৮:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

তিস্তার পানি এখন বিপদে পড়েছে। রোববার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। যে কোনো মুহূর্তে এটি বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যেই দ্রুত বাড়তে থাকা তিস্তার পানি ঢুকে পড়েছে চর এলাকা ও নিচু এলাকায়। ঘরে পানি ঢুকছে। বাদামসহ আবাদি ফসল ডুবে গেছে। বড় বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, টানা বৃষ্টি ও বর্ষণে বুধবার রাত ৯টা থেকে তিস্তায় পানির স্তর বাড়তে শুরু করেছে। সেই সময় থেকে রবিবার সকাল 6 টায় এটি 51.83 থেকে 52.45 সেন্টিমিটারে বেড়েছে। যা বিপদসীমা 52.60 থেকে মাত্র 15 সেন্টিমিটার নিচে। এ কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং কোনো কোনো স্থানে তা যেকোনো মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৬ জুন সকাল ৬টা থেকে ১২ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ছাতনা এলাকা থেকে জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী, সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, ডন। এতে এসব এলাকার বাদাম, আমন চারা, পাট ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট পানিতে ভেসে যাচ্ছে। বড় বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তার তীরবর্তী মানুষ।

এদিকে সুশাসনের জন্য সুজন রংপুর মহাগর কমিটির সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বন্যার আগাম প্রস্তুতির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।