Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৫০ টাকা-BD Open News
১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৫০ টাকা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠকে শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন তারা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেছেন। সে অনুযায়ী শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বেড়েছে ৫০ টাকা। এর পাশাপাশি প্লাকিং বোনাস (অতিরিক্ত পাতা তোলার টাকা), উৎসব ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আনুপাতিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটি ও অসুস্থ ছুটিও বাড়বে।

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেন চা শ্রমিকরা। চা বাগানে ধর্মঘট চলছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চা বাগানের মালিক এম শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

আহমদ কায়কাউস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসবের ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থ ছুটি বাড়ানো হবে। চিকিৎসা ব্যয়। মালিক কর্তৃক বহন করা হবে।ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তার অবদান আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

এর পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে রেশন সুবিধা বাড়ানো হবে। চিকিৎসা সুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন, চা শ্রমিকদের পোষা প্রাণীর শিক্ষার ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ, গরুর চারণভূমির ব্যয়, বিনামূল্যে আবাসন ও রক্ষণাবেক্ষণ, শ্রমিক কল্যাণ কর্মসূচি এবং গৃহস্থালির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে দৈনিক মজুরি পড়বে সাড়ে চারশ’ থেকে ৫শ’ টাকা।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং শ্রমিকদের কাজে ফিরতে বলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলে মজুরি বাড়ানোর কথা বলেছেন, তিনি তা করেছেন। তিনি চা শ্রমিকদের আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিতে বলেন। শিগগিরই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা। তিনি BD OPEN NEWS

বলেন, ‘আমাদের চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া রেশন, চিকিৎসা, বাড়িসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। আগামীকাল থেকে আমাদের চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।

গণভবনে বৈঠকে উপস্থিত এক চা বাগান মালিBD OPEN NEWS

কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী উভয় পক্ষের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় মালিকরা শ্রমিকদের যে সুবিধা দেয় তা শুনে তিনি বলেন, এত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা প্রচার করা হচ্ছে না কেন?

বাগান মালিক শ্রমিকদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রতি মাসে 2 টাকা কেজি দরে একজন শ্রমিককে 46 কেজি চাল দেই। যে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দেওয়া হয় তার বাজার মূল্য 7500 টাকা। এ ছাড়া প্রতি 1500 বর্গফুট জমিতে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। চা শিল্পে 1948 সাল থেকে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম রয়েছে।

শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টার ধর্মঘট এবং ১৩ আগস্ট থেকে সারাদেশে চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। দাবি আদায়ে গত কয়েকদিন ধরে চা বাগানে ছিল উন্মাদনা। আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৫০ টাকা

আপডেট সময় ০৩:০০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠকে শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন তারা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেছেন। সে অনুযায়ী শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বেড়েছে ৫০ টাকা। এর পাশাপাশি প্লাকিং বোনাস (অতিরিক্ত পাতা তোলার টাকা), উৎসব ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আনুপাতিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটি ও অসুস্থ ছুটিও বাড়বে।

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেন চা শ্রমিকরা। চা বাগানে ধর্মঘট চলছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চা বাগানের মালিক এম শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

আহমদ কায়কাউস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসবের ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থ ছুটি বাড়ানো হবে। চিকিৎসা ব্যয়। মালিক কর্তৃক বহন করা হবে।ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তার অবদান আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

এর পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে রেশন সুবিধা বাড়ানো হবে। চিকিৎসা সুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন, চা শ্রমিকদের পোষা প্রাণীর শিক্ষার ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ, গরুর চারণভূমির ব্যয়, বিনামূল্যে আবাসন ও রক্ষণাবেক্ষণ, শ্রমিক কল্যাণ কর্মসূচি এবং গৃহস্থালির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে দৈনিক মজুরি পড়বে সাড়ে চারশ’ থেকে ৫শ’ টাকা।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং শ্রমিকদের কাজে ফিরতে বলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলে মজুরি বাড়ানোর কথা বলেছেন, তিনি তা করেছেন। তিনি চা শ্রমিকদের আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিতে বলেন। শিগগিরই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা। তিনি BD OPEN NEWS

বলেন, ‘আমাদের চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া রেশন, চিকিৎসা, বাড়িসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। আগামীকাল থেকে আমাদের চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।

গণভবনে বৈঠকে উপস্থিত এক চা বাগান মালিBD OPEN NEWS

কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী উভয় পক্ষের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় মালিকরা শ্রমিকদের যে সুবিধা দেয় তা শুনে তিনি বলেন, এত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা প্রচার করা হচ্ছে না কেন?

বাগান মালিক শ্রমিকদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রতি মাসে 2 টাকা কেজি দরে একজন শ্রমিককে 46 কেজি চাল দেই। যে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দেওয়া হয় তার বাজার মূল্য 7500 টাকা। এ ছাড়া প্রতি 1500 বর্গফুট জমিতে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। চা শিল্পে 1948 সাল থেকে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম রয়েছে।

শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টার ধর্মঘট এবং ১৩ আগস্ট থেকে সারাদেশে চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। দাবি আদায়ে গত কয়েকদিন ধরে চা বাগানে ছিল উন্মাদনা। আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।