Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
চালের দাম ৪ টাকা বাড়ানোর কারণ কী, এমন প্রশ্ন বাণিজ্যমন্ত্রীর - Open News
১১:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

চালের দাম ৪ টাকা বাড়ানোর কারণ কী, এমন প্রশ্ন বাণিজ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৯২১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়তে পারে। কিন্তু দাম বেড়েছে কেজিতে চার টাকা। কেজিতে এত টাকা দাম বাড়ার কোনো কারণ আছে কি? কিন্তু এ সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এবং যখন ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়, তারা একেবারেই করে।

আজ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। টিসিবি কর্তৃক এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির হালনাগাদ তথ্য জানাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, চাল-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে? জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে রাতারাতি দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আমি জানি না কবে মিঃ পুতিন (রাশিয়ান) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) যুদ্ধ বন্ধ করবেন।কিন্তু জনগণের দুর্ভোগ, আমরা স্বীকার করছি।প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন।আশা করি অক্টোবরের মধ্যে দাম সহনীয় হবে।তিনি আরও বলেন,ডিম আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে।কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের দাম বিশ্লেষণ করে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি টিসিবির পণ্য বিতরণ সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে টিআইবি যে গবেষণা করেছে তাতে তথ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। গবেষণায় সঠিক তথ্য উঠে আসেনি বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

১১ আগস্ট টিআইবির প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাড়ে ৩৯ শতাংশ মানুষ পারিবারিক কার্ড পাননি। ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবি ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৪৭ জনের ওপর জরিপ চালিয়েছে। সত্য তথ্য এত কম লোকে বেরিয়ে আসার কথা নয়।

মন্ত্রী বলেন, ১ কোটি পারিবারিক কার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ কার্ড তৈরি হয়েছে। বাকি রয়েছে পাঁচ লাখ কার্ড। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে তিন লাখ। বাকি দেড় লাখ ঢাকার বাইরে। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

অর্থনীতি থেকে আরও পড়ুন

নিউজটি শেয়ার করুন

চালের দাম ৪ টাকা বাড়ানোর কারণ কী, এমন প্রশ্ন বাণিজ্যমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৯:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়তে পারে। কিন্তু দাম বেড়েছে কেজিতে চার টাকা। কেজিতে এত টাকা দাম বাড়ার কোনো কারণ আছে কি? কিন্তু এ সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এবং যখন ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়, তারা একেবারেই করে।

আজ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। টিসিবি কর্তৃক এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির হালনাগাদ তথ্য জানাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, চাল-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে? জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে রাতারাতি দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আমি জানি না কবে মিঃ পুতিন (রাশিয়ান) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) যুদ্ধ বন্ধ করবেন।কিন্তু জনগণের দুর্ভোগ, আমরা স্বীকার করছি।প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন।আশা করি অক্টোবরের মধ্যে দাম সহনীয় হবে।তিনি আরও বলেন,ডিম আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে।কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের দাম বিশ্লেষণ করে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি টিসিবির পণ্য বিতরণ সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে টিআইবি যে গবেষণা করেছে তাতে তথ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। গবেষণায় সঠিক তথ্য উঠে আসেনি বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

১১ আগস্ট টিআইবির প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাড়ে ৩৯ শতাংশ মানুষ পারিবারিক কার্ড পাননি। ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবি ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৪৭ জনের ওপর জরিপ চালিয়েছে। সত্য তথ্য এত কম লোকে বেরিয়ে আসার কথা নয়।

মন্ত্রী বলেন, ১ কোটি পারিবারিক কার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ কার্ড তৈরি হয়েছে। বাকি রয়েছে পাঁচ লাখ কার্ড। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে তিন লাখ। বাকি দেড় লাখ ঢাকার বাইরে। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

অর্থনীতি থেকে আরও পড়ুন