Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
এক সপ্তাহের মধ্যে পদ্মা সেতুতে বাতি জ্বলবে -BD Open News
১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

এক সপ্তাহের মধ্যে পদ্মা সেতুতে বাতি জ্বলবে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / ২৪৮৮ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেতুর দুই প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্রিজের ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে উঠবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছেন সেতু বিভাগের প্রকৌশলীরা (বিদ্যুৎ)।

সেতু বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে ৩২৭টি ল্যাম্পপোস্ট এবং উভয় পাশে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার ফ্লাইওভারে ৮টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে 9.63 কিলোমিটার আলোকিত করার জন্য 415টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল ল্যাম্পপোস্টে বাতি বসানোর কাজ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ক্যাবল বসানোর কাজ। যা শেষ হতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে।

ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের তার বিছানোর পাশাপাশি সেতুতে সাইন, সিগন্যাল ও মার্কিংয়ের কাজ চলছে। সেতুর সীমানা দেয়ালে স্টিলের রেলিং বসানো হচ্ছে।

সেতুটি আলোকিত করার জন্য গত ২৪ মে জাজিরার ৪২ নম্বর পিয়ারে ব্রিজ সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাবস্টেশন থেকে ৬০ কিলোওয়াট সংযোগের তার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে সেতুতে আটটি ফিডার বসানো হয়েছে। যার মধ্যে চারটি প্রধান ফিডার এবং 4টি সাবফিডার রয়েছে। ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ হলে সাবস্টেশন থেকে ফিডারে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হবে। তারপর সংযোগটি ল্যাম্পপোস্টে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে সেতুতে লাইট জ্বালানো হবে।

পদ্মা সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট ছাড়াও ‘স্থাপত্য বাতি’ জ্বালানো হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন জাতীয় উৎসবের নকশা করে এসব বাতি জ্বালানো হবে। সেতুতে অপটিক্যাল ফাইবার এবং পিলারের পানির অংশ থেকে রাস্তার স্ল্যাব পর্যন্ত ভায়াডাক্টের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। সেতুটি উদ্বোধনের পর ঈদুল আজহার আগেই স্থাপত্য আলোর কাজ শেষ করা হবে।

সেতু বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলো</em>কে বলেন, সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে এখনো সেই সংযোগ আনা হয়নি। শুধু ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ চলছে। এটি সম্পূর্ণ হতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতুর মূল সেতুতে পিচ ঢালার কাজ শেষ হয়েছে গত মাসে। সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর সেতুর প্রস্তুতি শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

মাওয়া ও জাজিরায় সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে। পাশেই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করতে ঝর্ণা ও ইলিশের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। ট্রাকের ওজন মাপার জন্য একটি ওজন স্কেল তৈরি করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এক সপ্তাহের মধ্যে পদ্মা সেতুতে বাতি জ্বলবে

আপডেট সময় ০৭:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেতুর দুই প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্রিজের ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে উঠবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছেন সেতু বিভাগের প্রকৌশলীরা (বিদ্যুৎ)।

সেতু বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে ৩২৭টি ল্যাম্পপোস্ট এবং উভয় পাশে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার ফ্লাইওভারে ৮টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে 9.63 কিলোমিটার আলোকিত করার জন্য 415টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল ল্যাম্পপোস্টে বাতি বসানোর কাজ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ক্যাবল বসানোর কাজ। যা শেষ হতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে।

ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের তার বিছানোর পাশাপাশি সেতুতে সাইন, সিগন্যাল ও মার্কিংয়ের কাজ চলছে। সেতুর সীমানা দেয়ালে স্টিলের রেলিং বসানো হচ্ছে।

সেতুটি আলোকিত করার জন্য গত ২৪ মে জাজিরার ৪২ নম্বর পিয়ারে ব্রিজ সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাবস্টেশন থেকে ৬০ কিলোওয়াট সংযোগের তার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে সেতুতে আটটি ফিডার বসানো হয়েছে। যার মধ্যে চারটি প্রধান ফিডার এবং 4টি সাবফিডার রয়েছে। ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ হলে সাবস্টেশন থেকে ফিডারে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হবে। তারপর সংযোগটি ল্যাম্পপোস্টে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে সেতুতে লাইট জ্বালানো হবে।

পদ্মা সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট ছাড়াও ‘স্থাপত্য বাতি’ জ্বালানো হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন জাতীয় উৎসবের নকশা করে এসব বাতি জ্বালানো হবে। সেতুতে অপটিক্যাল ফাইবার এবং পিলারের পানির অংশ থেকে রাস্তার স্ল্যাব পর্যন্ত ভায়াডাক্টের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। সেতুটি উদ্বোধনের পর ঈদুল আজহার আগেই স্থাপত্য আলোর কাজ শেষ করা হবে।

সেতু বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলো</em>কে বলেন, সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে এখনো সেই সংযোগ আনা হয়নি। শুধু ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ চলছে। এটি সম্পূর্ণ হতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতুর মূল সেতুতে পিচ ঢালার কাজ শেষ হয়েছে গত মাসে। সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর সেতুর প্রস্তুতি শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

মাওয়া ও জাজিরায় সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে। পাশেই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করতে ঝর্ণা ও ইলিশের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। ট্রাকের ওজন মাপার জন্য একটি ওজন স্কেল তৈরি করা হচ্ছে।