Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
একদিনে ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি -BD Open News
১১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

একদিনে ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ২০৫০ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৬ জন। এ বছর একদিনে এত ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এ বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৫৯ জন।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৪৬ জনকে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬ জন, কক্সবাজার জেলায় বাকি ১০ জন মারা গেছেন। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার জেলায় বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর ঢাকার পর কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১৪১ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ৬১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩৮ জন রোগী কক্সবাজার জেলার।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গত মে মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬৩ জন। জুন মাসে একজনের মৃত্যু সহ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। পরের মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 1,571 এবং 9 জন মারা যান। আর চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৯ জন। এই 14 দিনে 6 জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঢাকা মহানগরীতে মশা জরিপ চালায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু বহনকারী এডিস মশা বেশি। জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে।

পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরিনকে বলেন, বছরের এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এ ছাড়া ৪ ধরনের ডেঙ্গুর মধ্যে (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪) ডেঙ্গু ৪-এ বেশি আক্রান্ত হয়। আগে এ ধরনের আক্রমণ দেখা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

একদিনে ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট সময় ০৩:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৬ জন। এ বছর একদিনে এত ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এ বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৫৯ জন।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৪৬ জনকে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬ জন, কক্সবাজার জেলায় বাকি ১০ জন মারা গেছেন। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার জেলায় বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর ঢাকার পর কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১৪১ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ৬১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩৮ জন রোগী কক্সবাজার জেলার।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গত মে মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬৩ জন। জুন মাসে একজনের মৃত্যু সহ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। পরের মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 1,571 এবং 9 জন মারা যান। আর চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৯ জন। এই 14 দিনে 6 জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঢাকা মহানগরীতে মশা জরিপ চালায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু বহনকারী এডিস মশা বেশি। জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে।

পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরিনকে বলেন, বছরের এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এ ছাড়া ৪ ধরনের ডেঙ্গুর মধ্যে (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪) ডেঙ্গু ৪-এ বেশি আক্রান্ত হয়। আগে এ ধরনের আক্রমণ দেখা যায়নি।