০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

৬৮ রানের লিড নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • / ১১১৩ বার পড়া হয়েছে

সেই শ্রীলঙ্কাই! ২০১৩ সালে গল টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯৬ ওভার ব্যাট করে ৬৩৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে সেটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ ওভার খেলার উদাহরণ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সেই ইনিংসের কিছুই টপকে যেতে পারেনি। তবে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওভার খেলেছে মুমিনুল হকের দল।

সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭০.১ ওভার ব্যাট করে ৪৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেই লিড ৬৮ রানের। আর হ্যাঁ, নয় বছর আগের সে ম্যাচে ২০০ করা সেই মুশফিকই আজ শতক তুলে নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ চতুর্থ দিনের খেলা চলছে। খেলার গতি-প্রকৃতিতে মোটামুটি পরিষ্কার, ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখনো দুই দলের একটি করে ইনিংস বাকি এবং হাতে আছে আর একদিন। প্রথম দুই ইনিংসে দুই দল যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে মোটামুটি সাড়ে তিন সেশনের মধ্যে বাকি দুই ইনিংস শেষে ফল? অলৌকিক কিছু না ঘটলে কল্পনাটা একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যায়।

৬ উইকেটে ৪৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন শতক তুলে নেওয়া মুশফিকুর রহিম ও নাঈম হাসান। বিকালের সেশনে খেলা শুরুর পর আগের সেশনে লিটন দাসের মতোই ‘বদঅভ্যাস’ এর শিকার হন মুশফিক। দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরুর প্রথম বলেই বাজে শট খেলে আউট হন লিটন। মুশফিক সে তুলনায় একটু দেরি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিকালের সেশনে খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারে গিয়ে লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে সুইপ করার লোভ সামলাতে পারেননি। ২৮২ বলে তাঁর ১০৫ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল মুশফিক কেন সুইপ করতে গেলেন সে প্রশ্ন উঠবে।

প্রশ্ন তোলা যায় আরও একটি—মুশফিকের এই ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ৩৭.২৩ এবং চার মাত্র চারটি। জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেট নিশ্চয়ই এই স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করার মতো কঠিন ছিল না? একই ইনিংসে ১৩৩ রানে আউট হওয়া তামিম ইকবালের স্ট্রাইকরেট ৬১। লিটন ৮৮ রান করেন ৪৬.৫৬ স্ট্রাইকরেটে।

মুশফিক আরেকটু চড়াও হয়ে খেললে আরও দ্রুত রান তুলতে পারত বাংলাদেশ। তাতে লিড যেমন বাড়ত তেমনি শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত অলআউট করে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ের সমীকরণ মেলানোর অন্তত কাছাকাছি থাকা যেত। ঢিমেতালে সময় নষ্ট করার ব্যাটিংয়ে সে সম্ভাবনাটুকুর যেমন অপমৃত্যু ঘটেছে তেমনি টেস্টটা ড্র হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ল।

সে যাই হোক, কাসুন রাজিতার বলে শরীফুল ইসলাম আঘাত পেয়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হওয়ার পর প্রথম ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। ‘কনকাশন সাব’ হয়ে নামা এই পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার আগের ওভারেই তাইজুল ইসলামকে তুলে নেন আসিতা ফার্নান্দো।

শেষের এসব উইকেট পড়ার আগে মুশফিক-নাঈমের জুটিতে আরও কিছু রান তোলার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। মুশফিক আউট হওয়ার পাঁচ ওভার পর নাঈমও (৫৩ বলে ৯) আউট হলে বাংলাদেশের অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।

আরও পড়ুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৬৮ রানের লিড নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

সেই শ্রীলঙ্কাই! ২০১৩ সালে গল টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯৬ ওভার ব্যাট করে ৬৩৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে সেটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ ওভার খেলার উদাহরণ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সেই ইনিংসের কিছুই টপকে যেতে পারেনি। তবে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওভার খেলেছে মুমিনুল হকের দল।

সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭০.১ ওভার ব্যাট করে ৪৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেই লিড ৬৮ রানের। আর হ্যাঁ, নয় বছর আগের সে ম্যাচে ২০০ করা সেই মুশফিকই আজ শতক তুলে নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ চতুর্থ দিনের খেলা চলছে। খেলার গতি-প্রকৃতিতে মোটামুটি পরিষ্কার, ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখনো দুই দলের একটি করে ইনিংস বাকি এবং হাতে আছে আর একদিন। প্রথম দুই ইনিংসে দুই দল যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে মোটামুটি সাড়ে তিন সেশনের মধ্যে বাকি দুই ইনিংস শেষে ফল? অলৌকিক কিছু না ঘটলে কল্পনাটা একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যায়।

৬ উইকেটে ৪৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন শতক তুলে নেওয়া মুশফিকুর রহিম ও নাঈম হাসান। বিকালের সেশনে খেলা শুরুর পর আগের সেশনে লিটন দাসের মতোই ‘বদঅভ্যাস’ এর শিকার হন মুশফিক। দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরুর প্রথম বলেই বাজে শট খেলে আউট হন লিটন। মুশফিক সে তুলনায় একটু দেরি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিকালের সেশনে খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারে গিয়ে লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে সুইপ করার লোভ সামলাতে পারেননি। ২৮২ বলে তাঁর ১০৫ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল মুশফিক কেন সুইপ করতে গেলেন সে প্রশ্ন উঠবে।

প্রশ্ন তোলা যায় আরও একটি—মুশফিকের এই ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ৩৭.২৩ এবং চার মাত্র চারটি। জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেট নিশ্চয়ই এই স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করার মতো কঠিন ছিল না? একই ইনিংসে ১৩৩ রানে আউট হওয়া তামিম ইকবালের স্ট্রাইকরেট ৬১। লিটন ৮৮ রান করেন ৪৬.৫৬ স্ট্রাইকরেটে।

মুশফিক আরেকটু চড়াও হয়ে খেললে আরও দ্রুত রান তুলতে পারত বাংলাদেশ। তাতে লিড যেমন বাড়ত তেমনি শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত অলআউট করে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ের সমীকরণ মেলানোর অন্তত কাছাকাছি থাকা যেত। ঢিমেতালে সময় নষ্ট করার ব্যাটিংয়ে সে সম্ভাবনাটুকুর যেমন অপমৃত্যু ঘটেছে তেমনি টেস্টটা ড্র হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ল।

সে যাই হোক, কাসুন রাজিতার বলে শরীফুল ইসলাম আঘাত পেয়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হওয়ার পর প্রথম ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। ‘কনকাশন সাব’ হয়ে নামা এই পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার আগের ওভারেই তাইজুল ইসলামকে তুলে নেন আসিতা ফার্নান্দো।

শেষের এসব উইকেট পড়ার আগে মুশফিক-নাঈমের জুটিতে আরও কিছু রান তোলার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। মুশফিক আউট হওয়ার পাঁচ ওভার পর নাঈমও (৫৩ বলে ৯) আউট হলে বাংলাদেশের অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।

আরও পড়ুন