০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সন্ধ্যায় মা খবর নিলেন, রাতে শুনলেন ছেলে নেই

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • / ১৮০৪ বার পড়া হয়েছে

আনার আফজাল কোথায়? তিনি আফজাল। কোথায় গেলেন? আমি আমার বুকে ধন ছাড়া বাঁচতে পারি না। ‘ সান্ত্বনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

রোববার বিকেলে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মহাদেবপুর গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। ষাট বছর বয়সী শামসুন্নাহার বিলাপ করে চট্টগ্রামী ভাষায় বলেন, সন্ধ্যায় মাকে ফোন করে খবর পান। জিজ্ঞাসা করলেন, নাস্তা খেয়েছেন কিনা। রাতে শুনলেন ছেলে নেই

শনিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আফজাল হোসেন (২০) নিহত হন। আফজাল ডিপোর কর্মচারী ছিলেন। তাদের বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মহাদেবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ সোলায়মান। গত বছরের ১৫ আগস্ট হঠাৎ করে তিনি মারা যান। বাবা বেঁচে থাকতে আফজাল এক বছর আগে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে চাকরি নেন।

চার ভাইয়ের মধ্যে আফজাল ছিলেন সবার ছোট। তাদের বাবা সোলায়মান সীতাকুণ্ডের মহন্তের হাটে সবজি বিক্রেতা ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সবজির দোকান চালাতেন বড় ভাই আনোয়ার হোসেন। অন্য দুই ভাই ইমাম হোসেন ও আমজাদ হোসেন গ্যারেজে কাজ করেন।

শামসুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে আফজাল ছিলেন সহজ সরল। কর্মস্থল বাড়ি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কর্মস্থলের পাশেই একটি ছোট কুমির এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রতিদিন অন্তত একবার ফোন করতাম। তিনি তার শরীর তল্লাশি করতেন এবং খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করেছেন কি না তার খোঁজ রাখতেন।

আফজালের মায়ের সঙ্গে এসব কথা বলার সময় তার ভাই আনোয়ার হোসেন আফজালের লাশ আনতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, লাশ শনাক্ত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র আনতে বলেছে। তাদের পেতে হিমশিম খাচ্ছে। সব কাগজপত্র হস্তান্তরের পর লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে মরদেহ সীতাকুণ্ডে এনে দাফন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সন্ধ্যায় মা খবর নিলেন, রাতে শুনলেন ছেলে নেই

আপডেট সময় ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

আনার আফজাল কোথায়? তিনি আফজাল। কোথায় গেলেন? আমি আমার বুকে ধন ছাড়া বাঁচতে পারি না। ‘ সান্ত্বনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

রোববার বিকেলে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মহাদেবপুর গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। ষাট বছর বয়সী শামসুন্নাহার বিলাপ করে চট্টগ্রামী ভাষায় বলেন, সন্ধ্যায় মাকে ফোন করে খবর পান। জিজ্ঞাসা করলেন, নাস্তা খেয়েছেন কিনা। রাতে শুনলেন ছেলে নেই

শনিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আফজাল হোসেন (২০) নিহত হন। আফজাল ডিপোর কর্মচারী ছিলেন। তাদের বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মহাদেবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ সোলায়মান। গত বছরের ১৫ আগস্ট হঠাৎ করে তিনি মারা যান। বাবা বেঁচে থাকতে আফজাল এক বছর আগে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে চাকরি নেন।

চার ভাইয়ের মধ্যে আফজাল ছিলেন সবার ছোট। তাদের বাবা সোলায়মান সীতাকুণ্ডের মহন্তের হাটে সবজি বিক্রেতা ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সবজির দোকান চালাতেন বড় ভাই আনোয়ার হোসেন। অন্য দুই ভাই ইমাম হোসেন ও আমজাদ হোসেন গ্যারেজে কাজ করেন।

শামসুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে আফজাল ছিলেন সহজ সরল। কর্মস্থল বাড়ি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কর্মস্থলের পাশেই একটি ছোট কুমির এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রতিদিন অন্তত একবার ফোন করতাম। তিনি তার শরীর তল্লাশি করতেন এবং খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করেছেন কি না তার খোঁজ রাখতেন।

আফজালের মায়ের সঙ্গে এসব কথা বলার সময় তার ভাই আনোয়ার হোসেন আফজালের লাশ আনতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, লাশ শনাক্ত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র আনতে বলেছে। তাদের পেতে হিমশিম খাচ্ছে। সব কাগজপত্র হস্তান্তরের পর লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে মরদেহ সীতাকুণ্ডে এনে দাফন করা হবে।