১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শরিকদের সঙ্গে অনেক মতপার্থক্য, যোগাযোগ বাড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৯৩০ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

শরিকদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরোধ বাড়ছে। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর অসন্তুষ্ট ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। এ অবস্থায় কেন্দ্র ও জেলায় ১৪টি দলের মধ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে শরিকরা বলছেন, সাংগঠনিক তৎপরতা যতই বাড়ুক না কেন, তারা সরকারের জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেই থাকবে।

গত সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম তিন বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট ও শরিকদের থেকে দূরত্ব রেখে এককভাবে নির্বাচন করার নীতি গ্রহণ করে। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী ও জোটের প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আবারও জোট বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটের শরিক ও মিত্রদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনার সরকারে রাখার জন্য ভারতের প্রতি অনুরোধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্যে তারা আবারও অসন্তুষ্ট। এ অবস্থায় জোট ও শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

১৪ দল ও আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, সাংগঠনিকভাবে ১৪ দলের তৎপরতা বাড়াতে দফায় দফায় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকে চিঠি দিয়ে শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেও শরিকদের নিয়ে কর্মসূচি জোরদার করার পরামর্শ দেন ড.

বিষয়টি নিশ্চিত করে আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে দুই দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১৪ দলের সদস্যদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে দলগুলো জেলা থেকে জেলায় কর্মসূচি পালন করবে।

গত আগস্টে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। এ বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেন কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। এ সময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয় দেখছেন। 14 দলের উদ্বেগ রিপোর্ট করা হবে. এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ১৪ দলের বৈঠক হয়। সদস্যরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।

জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বিভিন্ন ইস্যুতে ১৪ দলের সদস্যদের মতামতের ভিন্নতার বিষয়ে প্রথম আলো</em>কে বলেন, ১১৪টি দলের বৈঠকে দ্রব্যমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পেছনে যুক্তি তুলে ধরেছি। তাদের ন্যায্য উদ্বেগের কথাও সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে।

জোটের শরিক দলের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তেBD OPEN NEWS

কে বলেন, যতদিন জোটে থাকুক না কেন, জনস্বার্থবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেই থাকবে। নির্বাচনে ১৪টি দল অংশগ্রহণ করবে বলে জানান এই নেতা। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সোচ্চার না হলে রাজনীতি করে লাভ নেই। সরকার আমলাতন্ত্রের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ জন্য জনস্বার্থে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

১৪ দলের সদস্য জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গুণ্ডামি, মাস্তানি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থান নেবে। এসব বিষয়ে মাঠে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তিনি বলেন, মতবিরোধ থাকলে আদর্শিকভাবে জামায়াত-বিএনপির মতো জঙ্গি-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্য আছে। কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে ১৪টি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচন সামনে এলে ১৪ দলের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হবেন। কারণ, ১৪ দলের শরিকদের আওয়ামী লীগের বিকল্প খুব একটা নেই। আর আওয়ামী লীগও ১৪ দলের শরিকদের স্বাভাবিক মিত্র মনে করে। গত মার্চে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জোট হবে এবং তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আবার জোটের শরিকদের ডেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক মন্দা নিয়ে কথা বলেন, তাহলে জোটের মধ্যে মতপার্থক্য কমতে পারে।

তবে সঙ্গে দূরত্ব

নিউজটি শেয়ার করুন

শরিকদের সঙ্গে অনেক মতপার্থক্য, যোগাযোগ বাড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় ০৩:৩২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

শরিকদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরোধ বাড়ছে। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর অসন্তুষ্ট ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। এ অবস্থায় কেন্দ্র ও জেলায় ১৪টি দলের মধ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে শরিকরা বলছেন, সাংগঠনিক তৎপরতা যতই বাড়ুক না কেন, তারা সরকারের জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেই থাকবে।

গত সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম তিন বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট ও শরিকদের থেকে দূরত্ব রেখে এককভাবে নির্বাচন করার নীতি গ্রহণ করে। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী ও জোটের প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আবারও জোট বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটের শরিক ও মিত্রদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনার সরকারে রাখার জন্য ভারতের প্রতি অনুরোধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্যে তারা আবারও অসন্তুষ্ট। এ অবস্থায় জোট ও শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

১৪ দল ও আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, সাংগঠনিকভাবে ১৪ দলের তৎপরতা বাড়াতে দফায় দফায় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকে চিঠি দিয়ে শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেও শরিকদের নিয়ে কর্মসূচি জোরদার করার পরামর্শ দেন ড.

বিষয়টি নিশ্চিত করে আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে দুই দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১৪ দলের সদস্যদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে দলগুলো জেলা থেকে জেলায় কর্মসূচি পালন করবে।

গত আগস্টে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। এ বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেন কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। এ সময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয় দেখছেন। 14 দলের উদ্বেগ রিপোর্ট করা হবে. এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ১৪ দলের বৈঠক হয়। সদস্যরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।

জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বিভিন্ন ইস্যুতে ১৪ দলের সদস্যদের মতামতের ভিন্নতার বিষয়ে প্রথম আলো</em>কে বলেন, ১১৪টি দলের বৈঠকে দ্রব্যমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পেছনে যুক্তি তুলে ধরেছি। তাদের ন্যায্য উদ্বেগের কথাও সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে।

জোটের শরিক দলের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তেBD OPEN NEWS

কে বলেন, যতদিন জোটে থাকুক না কেন, জনস্বার্থবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেই থাকবে। নির্বাচনে ১৪টি দল অংশগ্রহণ করবে বলে জানান এই নেতা। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সোচ্চার না হলে রাজনীতি করে লাভ নেই। সরকার আমলাতন্ত্রের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ জন্য জনস্বার্থে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

১৪ দলের সদস্য জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গুণ্ডামি, মাস্তানি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থান নেবে। এসব বিষয়ে মাঠে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তিনি বলেন, মতবিরোধ থাকলে আদর্শিকভাবে জামায়াত-বিএনপির মতো জঙ্গি-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্য আছে। কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে ১৪টি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচন সামনে এলে ১৪ দলের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হবেন। কারণ, ১৪ দলের শরিকদের আওয়ামী লীগের বিকল্প খুব একটা নেই। আর আওয়ামী লীগও ১৪ দলের শরিকদের স্বাভাবিক মিত্র মনে করে। গত মার্চে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জোট হবে এবং তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আবার জোটের শরিকদের ডেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক মন্দা নিয়ে কথা বলেন, তাহলে জোটের মধ্যে মতপার্থক্য কমতে পারে।

তবে সঙ্গে দূরত্ব