০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

রাতে পুলিশ কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’, সকালে তার সাবেক দেহরক্ষীর লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

রাতে পুলিশ কর্মকর্তার 'আত্মহত্যা', সকালে তার সাবেক দেহরক্ষীর লাশ উদ্ধার

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের (এডিসি) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম খন্দকার লাবণী। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সারংদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ওড়না ও সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুদিন আগে ছুটিতে মাগুরায় এসেছেন তিনি। তিনি বিসিএসের ৩০তম ব্যাচ ছিলেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইন্স থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হন। পুলিশ জানায়, নিজের নামে জারি করা অস্ত্র নিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, বদলির আগে মাহমুদুল খুলনায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি নিহত পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবনীর দেহরক্ষী ছিলেন। দুজনের মৃত্যুর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, খন্দকার লাবনীর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়লীদহ গ্রামে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান মুঠোফোনে বিডি ওপেন নিউজকে বলেন, খন্দকার লাবণী গতকাল বেলা ১২টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে কনস্টেবলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে ব্যারাকে ফিরে মাহমুদুল নিজের নামে দেওয়া শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। গুলি তার মুখ দিয়ে ঢুকে যায়। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাতে পুলিশ কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’, সকালে তার সাবেক দেহরক্ষীর লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৭:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের (এডিসি) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম খন্দকার লাবণী। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সারংদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ওড়না ও সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুদিন আগে ছুটিতে মাগুরায় এসেছেন তিনি। তিনি বিসিএসের ৩০তম ব্যাচ ছিলেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইন্স থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হন। পুলিশ জানায়, নিজের নামে জারি করা অস্ত্র নিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, বদলির আগে মাহমুদুল খুলনায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি নিহত পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবনীর দেহরক্ষী ছিলেন। দুজনের মৃত্যুর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, খন্দকার লাবনীর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়লীদহ গ্রামে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান মুঠোফোনে বিডি ওপেন নিউজকে বলেন, খন্দকার লাবণী গতকাল বেলা ১২টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে কনস্টেবলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে ব্যারাকে ফিরে মাহমুদুল নিজের নামে দেওয়া শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। গুলি তার মুখ দিয়ে ঢুকে যায়। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।