রাজউকের কর্মকর্তা হয়ে প্লট বিক্রির নামে দেড় লাখ টাকা নেন তিনি
- আপডেট সময় ০৪:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
- / ৭৩১ বার পড়া হয়েছে
এই চক্রটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ব্যাংকের নথি জাল করে প্লট বিক্রির নামে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। এই চক্রের একজন নিজেকে রাজউকের উপ-পরিচালক (ডিডি) পরিচয়ও দিয়ে আসছিল।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাগবের এলাকা থেকে এই চক্রের প্রতারক তৈয়বুর রহমান সানুকে (৫৮) গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পুলিশ এখন এই চক্রের সদস্য নারায়ণগঞ্জের মোঃ এরশাদ মিয়া আরশাদ (৪৫), জয়নাল আবেদীন মোক্তার (৫০)সহ ২০-২৫ জনকে খুঁজছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম। তিনি জানান, তৈয়বুর নিজেকে রাজউকের ডিডি (ডিডি হাবিবুর রহমান) পরিচয় দিতেন। এ ছাড়া তিনি নিজেকে পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। সিআইডি জানায়, গত বছরের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিক পূর্বাচলে প্লট বিক্রির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আখতারুজ্জামান (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে প্রলোভন দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে এরশাদ নামে এক ব্যক্তি তা রিসিভ করেন। তিনি আখতারুজ্জামানকে বলেন, দুটি প্লট বিক্রি করা হবে। এ চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে আখতারুজ্জামান রাজুর কাছে যান। সেখানে হাবিবের নাম লেখা দেখে ডিডি হাবিবুর রহমান আশ্বস্ত হন।
এরপর টাইবুর তার সহযোগী আরশাদ ও চক্রের অন্য সদস্যদের সহায়তায় ভিকটিমকে প্লট বিক্রির নামে দেড় কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। টাকা নিয়ে টাইবুর ভুক্তভোগীকে আশ্বাস দেন যে তিনি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্লটের অনলাইন কোড পেয়ে যাবেন। আরও পাঁচ মাস পর তাকে প্লট ‘বরাদ্দ’ দেওয়া হয়। রাজুর সাথে বরাদ্দের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে ভিকটিম বুঝতে পারে তাকে দেওয়া কাগজপত্র জাল। এ ঘটনায় ভিকটিম মো. আখতারুজ্জামান খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। সিআইডি ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পায়। তৈয়বুরকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, অভিযুক্তরা একইভাবে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে।