০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ভবনটি কে নির্মাণ করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভেঙে পড়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণের প্রকল্প

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

রাজধানীর মগবাজারের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্য নার্স তৈরির জন্য একটি নার্সিং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেছে। সরকার তাতে সাড়া দিয়েছে। এই বেসরকারি হাসপাতালের জমিতে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজটি নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এটি 2017 সালে শুরু হয়েছিল এবং গত বছরের 30 জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও কলেজের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। কলেজ ভবন কে নির্মাণ করবে তা নিয়ে কমিউনিটি মেডিকেল ও সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত ‘ঢাকায় নারীদের জন্য কমিউনিটি নার্সিং ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন বৈঠকে প্রায় ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানটি ছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। মন্ত্রণালয়ের নতুন অর্থবছরে এ প্রকল্প বাদ দিয়ে নতুন প্রকল্পের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১২ খাটা জমির ওপর ছয়তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রজেক্ট ম্যানেজার কয়েকবার পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে অনেক দিন কোনো প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিল না।

কয়েক দফা বৈঠকের পর মূল্যবান জমি বিবেচনা করে ভবনের উচ্চতা ৯ তলা করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে নকশা এবং খরচ পুনর্নির্ধারণ সহ বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২২ কোটি ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে প্রকল্প নিয়ে মতবিরোধ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে প্রকল্পটি বন্ধ করতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে যোগ্য নার্স তৈরি করা। রোগীদের সাথে চিকিৎসা ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য বিনিময়ে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা এবং রোগীদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করা, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী সহকারী হিসেবে দক্ষ সেবা প্রদান এবং দেশ-বিদেশের বেকার ও আধা-বেকার তরুণীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।

২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য এডিপি বরাদ্দ ছিল ১ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ লাখ টাকা।

তবে উপসচিব শেখ মুসলিমা মুন বলেন, এ প্রকল্পে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠক ডাকা হয়। এতে তাদের খরচ হতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক জাবেদ ইউসুফ জানান, বারবার বৈঠক হয়েছে। খরচ কিছু. তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রকল্পটির দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর তিনি মারা যান। প্রকল্পের বিস্তারিত অনেক নথি এখনও দেখা হয়নি।

গত 2021-22 অর্থবছরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রকের 22টি প্রকল্প ছিল সেই প্রকল্প সহ। নতুন অর্থবছরে প্রকল্পটি বাদ দিয়ে ১৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মহিলা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত) ইকবাল হোসেন BD OPEN NEWS

কে বলেন, চলতি অর্থবছরে ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে নার্সিং ডিগ্রি কলেজ প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভবনটি কে নির্মাণ করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভেঙে পড়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণের প্রকল্প

আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২

রাজধানীর মগবাজারের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্য নার্স তৈরির জন্য একটি নার্সিং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেছে। সরকার তাতে সাড়া দিয়েছে। এই বেসরকারি হাসপাতালের জমিতে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজটি নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এটি 2017 সালে শুরু হয়েছিল এবং গত বছরের 30 জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও কলেজের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। কলেজ ভবন কে নির্মাণ করবে তা নিয়ে কমিউনিটি মেডিকেল ও সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত ‘ঢাকায় নারীদের জন্য কমিউনিটি নার্সিং ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন বৈঠকে প্রায় ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানটি ছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। মন্ত্রণালয়ের নতুন অর্থবছরে এ প্রকল্প বাদ দিয়ে নতুন প্রকল্পের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১২ খাটা জমির ওপর ছয়তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রজেক্ট ম্যানেজার কয়েকবার পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে অনেক দিন কোনো প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিল না।

কয়েক দফা বৈঠকের পর মূল্যবান জমি বিবেচনা করে ভবনের উচ্চতা ৯ তলা করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে নকশা এবং খরচ পুনর্নির্ধারণ সহ বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২২ কোটি ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে প্রকল্প নিয়ে মতবিরোধ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে প্রকল্পটি বন্ধ করতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে যোগ্য নার্স তৈরি করা। রোগীদের সাথে চিকিৎসা ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য বিনিময়ে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা এবং রোগীদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করা, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী সহকারী হিসেবে দক্ষ সেবা প্রদান এবং দেশ-বিদেশের বেকার ও আধা-বেকার তরুণীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।

২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য এডিপি বরাদ্দ ছিল ১ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ লাখ টাকা।

তবে উপসচিব শেখ মুসলিমা মুন বলেন, এ প্রকল্পে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠক ডাকা হয়। এতে তাদের খরচ হতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক জাবেদ ইউসুফ জানান, বারবার বৈঠক হয়েছে। খরচ কিছু. তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রকল্পটির দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর তিনি মারা যান। প্রকল্পের বিস্তারিত অনেক নথি এখনও দেখা হয়নি।

গত 2021-22 অর্থবছরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রকের 22টি প্রকল্প ছিল সেই প্রকল্প সহ। নতুন অর্থবছরে প্রকল্পটি বাদ দিয়ে ১৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মহিলা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত) ইকবাল হোসেন BD OPEN NEWS

কে বলেন, চলতি অর্থবছরে ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে নার্সিং ডিগ্রি কলেজ প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।