০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আ.লীগের লোকজনও জড়িত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১১৭২ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। সরকারি দলের লোকজনও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় সংসদে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তিনি সংসদে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারতেন, তাহলে তাকে বলতে পারতেন। অর্থের বিনিময়ে নিজেদের লোকজনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায়ই সঠিক তথ্য দেয় না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ষড়যন্ত্র ঠেকাতে এবং জেলা-উপজেলায় কর্মরতদের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেন।

জাতীয় সংসদে সাধারণ প্রস্তাবটি আনেন সরকারি দলের সদস্য আরএম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার প্রস্তাবে বলা হয়, ‘এই মহান সংসদের মতামতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘৃণ্য খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর প্রতি আমি গভীর ঘৃণা প্রকাশ করছি। ” কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের ভূত এখনো শান্ত হয়নি। আজও তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে ইতিহাসের চাকা ঘোরাতে তাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

তাদের ঘৃণ্য চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া যাবে না। ইতিহাসের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আমরা জাতির পিতা, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদকে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং নেতৃত্বে সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করার শপথ নিই। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার। 2022 সালের আগস্টে একাদশ জাতীয় সংসদের 29তম অধিবেশনে এটি একটি দৃঢ় ঘোষণা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আ.লীগের লোকজনও জড়িত

আপডেট সময় ০৪:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। সরকারি দলের লোকজনও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় সংসদে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তিনি সংসদে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারতেন, তাহলে তাকে বলতে পারতেন। অর্থের বিনিময়ে নিজেদের লোকজনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায়ই সঠিক তথ্য দেয় না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ষড়যন্ত্র ঠেকাতে এবং জেলা-উপজেলায় কর্মরতদের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেন।

জাতীয় সংসদে সাধারণ প্রস্তাবটি আনেন সরকারি দলের সদস্য আরএম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার প্রস্তাবে বলা হয়, ‘এই মহান সংসদের মতামতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘৃণ্য খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর প্রতি আমি গভীর ঘৃণা প্রকাশ করছি। ” কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের ভূত এখনো শান্ত হয়নি। আজও তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে ইতিহাসের চাকা ঘোরাতে তাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

তাদের ঘৃণ্য চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া যাবে না। ইতিহাসের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আমরা জাতির পিতা, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদকে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং নেতৃত্বে সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করার শপথ নিই। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার। 2022 সালের আগস্টে একাদশ জাতীয় সংসদের 29তম অধিবেশনে এটি একটি দৃঢ় ঘোষণা হোক।