১২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

পানির স্রোত বাড়ছে, ভয়াবহ অবস্থা লক্ষাধিক মানুষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ৯৯১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভারতে অতিবৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শেরপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আটকে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। এদিকে পানির প্রবাহ অসহায়ত্বের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘরবাড়ি। মানুষ পানিতে ভাসছে, পশুরা ভেসে যাচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগে থাকা মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে গবাদিপশুরও দুর্ভোগ। তিনি গরু-ছাগলগুলোকে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জের সাথে বিচ্ছিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগ। সিলেটের পুরাতন রেলস্টেশন ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা এখন পানির নিচে। মানবিক সংকটের এই দুঃসময়ে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বলছে, এবারের বন্যা দেশে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ভারত থেকে আসা ঢালের কারণে সিলেট বিভাগের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সোমবারের আগে এ পানি নামার সম্ভাবনা নেই। কারণ উজানে আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির কারণে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জ কার্যত দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। টেলিফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের প্রায় তিন লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন। সিলেট-সুনামগঞ্জের অন্তত ২০ লাখ মানুষ অর্ধাহারে পানির সঙ্গে লড়ছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বুবো) সিলেট সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনে পানি প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারীরা।

এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদী তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে তিস্তা অববাহিকার চার জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পানির স্রোত বাড়ছে, ভয়াবহ অবস্থা লক্ষাধিক মানুষ

আপডেট সময় ০৫:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভারতে অতিবৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শেরপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আটকে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। এদিকে পানির প্রবাহ অসহায়ত্বের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘরবাড়ি। মানুষ পানিতে ভাসছে, পশুরা ভেসে যাচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগে থাকা মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে গবাদিপশুরও দুর্ভোগ। তিনি গরু-ছাগলগুলোকে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জের সাথে বিচ্ছিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগ। সিলেটের পুরাতন রেলস্টেশন ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা এখন পানির নিচে। মানবিক সংকটের এই দুঃসময়ে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বলছে, এবারের বন্যা দেশে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ভারত থেকে আসা ঢালের কারণে সিলেট বিভাগের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সোমবারের আগে এ পানি নামার সম্ভাবনা নেই। কারণ উজানে আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির কারণে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জ কার্যত দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। টেলিফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের প্রায় তিন লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন। সিলেট-সুনামগঞ্জের অন্তত ২০ লাখ মানুষ অর্ধাহারে পানির সঙ্গে লড়ছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বুবো) সিলেট সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনে পানি প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারীরা।

এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদী তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে তিস্তা অববাহিকার চার জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।