০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নির্বাচন নিয়ে সংসদে বিএনপি-আইনমন্ত্রীর বাকবিতণ্ডা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ৫৯৩ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনা যায় তা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন-নিরপেক্ষ সরকার আনতে হবে।

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে হাইকোর্টের রায়ের এক সুতোর বাইরে যাবে না সরকার। তিনি প্রশ্ন করেন, পাকিস্তানে বিএনপি আছে যে সেখান থেকে ডাকতে হবে?

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত দায়ী ব্যয় ব্যতীত অন্য ব্যয়ের অনুমোদনের দাবি নিয়ে আলোচনাকালে তারা এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুমোদনের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সংসদে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ একসময় বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন কি বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? পারে না

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করে না। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসন। তাই এই বরাদ্দ নির্বাচন কমিশনকে না দিয়ে প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, দেশে যখন নির্বাচন হয় তখন নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন আসে। যদি নির্বাচন না হয়, দিনে ভোট হয় রাতে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের কী হবে?

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে রুমিন বলেন, গোপন বুথে ডাকাতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই ডাকাতরা শুধু দলীয় ডাকাতই নয়, পুলিশ প্রশাসনও এসব ডাকাতি করে। এই ডাকাতি যেভাবে পুরস্কৃত হয়, ভবিষ্যতে ডাকাতি আরও বাড়বে।

রুমিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীনকে পুরস্কার হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। অবসর নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি ইউরোপে চলে যান। সেই সফরের অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাবেন অবসর জীবনে। এভাবে পুরস্কার দেওয়া হলে বিনা ভোটে সংসদ গঠিত হতেই থাকবে।

রুমিন বলেন, আওয়ামী লীগের পুরনো খেলা আছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়। এই গেমটি 2014 সালেও দেখা গিয়েছিল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, নির্বাচন কমিশন সেখানে একজন সংসদ সদস্যকে সামলাতে পারেনি। সে তার হুমকি সহ্য করতে পারেনি। বারবার অনুরোধ করেও তাকে এলাকা থেকে সরানো যায়নি। যে কমিশন একজন এমপিকে সামলাতে পারে না, সে জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ এমপিকে কীভাবে সামলাবে? এই কমিশনের অধীনে ভোট কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যত শক্তিশালী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তত যৌক্তিক। তিনি নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনী পুলিশ গঠনের প্রস্তাব করেন।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেছেন, ইভিএমে কোনো ভুল নেই। যারা ইভিএমকে প্রভাবিত করে তারা ব্যালটেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই সমস্যা বন্ধ করতে হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করে। তারা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন ঢাকায় বসে কিছু করতে পারবে না। আসলে নির্বাচন কমিশনসহ কোনো কমিশনই স্বাধীন নয়। এটা সব সরকারের আমলেই হয়েছে, চলবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে সবাই জিততে চায়। এখানে কোন নৈতিকতা মানে না। যেখানে ক্ষমতা বেশি, স্থানীয় প্রশাসনও সেখানে যায়।

গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, চার দলই শুধু ইভিএমের পক্ষে, অধিকাংশই বিপক্ষে। আনুগত্য না করে নির্বাচন কমিশনের উচিত জনগণকে সম্মান করে ইভিএম বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

আইনমন্ত্রীর জবাব

বিএনপি সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি এই সংসদে বলতে চাই, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সরকার হাইকোর্টের এই রায়ের একটি সুতোর বাইরে যাবে না। কারণ, বর্তমান সরকার আইনে বিশ্বাস করে। আইনের শাসনে বিশ্বাসী। ‘

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বলেছে তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। তারা কি পাকিস্তানে থাকে যে তাদের সেখান থেকে ফোন করতে হবে? তারা বাংলাদেশে থাকে। বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। তারা চাইলে ভোট দিতে পারেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে প্লেয়িং ফিল্ড দরকার তা করা হবে। ধাপ হলো নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন। সেটা করা হয়েছে।

বিএনপি শাসনামলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেছেন, কোথাও টি

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন নিয়ে সংসদে বিএনপি-আইনমন্ত্রীর বাকবিতণ্ডা

আপডেট সময় ০৪:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনা যায় তা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন-নিরপেক্ষ সরকার আনতে হবে।

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে হাইকোর্টের রায়ের এক সুতোর বাইরে যাবে না সরকার। তিনি প্রশ্ন করেন, পাকিস্তানে বিএনপি আছে যে সেখান থেকে ডাকতে হবে?

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত দায়ী ব্যয় ব্যতীত অন্য ব্যয়ের অনুমোদনের দাবি নিয়ে আলোচনাকালে তারা এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুমোদনের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সংসদে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ একসময় বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন কি বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? পারে না

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করে না। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসন। তাই এই বরাদ্দ নির্বাচন কমিশনকে না দিয়ে প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, দেশে যখন নির্বাচন হয় তখন নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন আসে। যদি নির্বাচন না হয়, দিনে ভোট হয় রাতে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের কী হবে?

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে রুমিন বলেন, গোপন বুথে ডাকাতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই ডাকাতরা শুধু দলীয় ডাকাতই নয়, পুলিশ প্রশাসনও এসব ডাকাতি করে। এই ডাকাতি যেভাবে পুরস্কৃত হয়, ভবিষ্যতে ডাকাতি আরও বাড়বে।

রুমিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীনকে পুরস্কার হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। অবসর নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি ইউরোপে চলে যান। সেই সফরের অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাবেন অবসর জীবনে। এভাবে পুরস্কার দেওয়া হলে বিনা ভোটে সংসদ গঠিত হতেই থাকবে।

রুমিন বলেন, আওয়ামী লীগের পুরনো খেলা আছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়। এই গেমটি 2014 সালেও দেখা গিয়েছিল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, নির্বাচন কমিশন সেখানে একজন সংসদ সদস্যকে সামলাতে পারেনি। সে তার হুমকি সহ্য করতে পারেনি। বারবার অনুরোধ করেও তাকে এলাকা থেকে সরানো যায়নি। যে কমিশন একজন এমপিকে সামলাতে পারে না, সে জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ এমপিকে কীভাবে সামলাবে? এই কমিশনের অধীনে ভোট কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যত শক্তিশালী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তত যৌক্তিক। তিনি নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনী পুলিশ গঠনের প্রস্তাব করেন।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেছেন, ইভিএমে কোনো ভুল নেই। যারা ইভিএমকে প্রভাবিত করে তারা ব্যালটেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই সমস্যা বন্ধ করতে হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করে। তারা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন ঢাকায় বসে কিছু করতে পারবে না। আসলে নির্বাচন কমিশনসহ কোনো কমিশনই স্বাধীন নয়। এটা সব সরকারের আমলেই হয়েছে, চলবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে সবাই জিততে চায়। এখানে কোন নৈতিকতা মানে না। যেখানে ক্ষমতা বেশি, স্থানীয় প্রশাসনও সেখানে যায়।

গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, চার দলই শুধু ইভিএমের পক্ষে, অধিকাংশই বিপক্ষে। আনুগত্য না করে নির্বাচন কমিশনের উচিত জনগণকে সম্মান করে ইভিএম বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

আইনমন্ত্রীর জবাব

বিএনপি সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি এই সংসদে বলতে চাই, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সরকার হাইকোর্টের এই রায়ের একটি সুতোর বাইরে যাবে না। কারণ, বর্তমান সরকার আইনে বিশ্বাস করে। আইনের শাসনে বিশ্বাসী। ‘

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বলেছে তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। তারা কি পাকিস্তানে থাকে যে তাদের সেখান থেকে ফোন করতে হবে? তারা বাংলাদেশে থাকে। বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। তারা চাইলে ভোট দিতে পারেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে প্লেয়িং ফিল্ড দরকার তা করা হবে। ধাপ হলো নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন। সেটা করা হয়েছে।

বিএনপি শাসনামলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেছেন, কোথাও টি