০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দেশের উন্নয়ন নিয়ে একদল মানুষ কেন বিরক্ত হচ্ছেন, প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
  • / ৯৯৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন ও অর্জনকে দেশের কিছু মানুষ কেন মেনে নিতে পারছে না বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে একদল মানুষের মন খারাপ হয় কেন? কেন তারা কোনো অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন হিসেবে মেনে নিতে পারছে না? ‘

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির ১৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার গণভবনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বাধা রয়েছে, তারপরও আমরা নিজেরাই পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটাকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না। কেন তাদের দুঃখ? তাদের সমস্যা কোথায়?’ অনেক উন্নত দেশ নেতিবাচক, মহামারীর সময়ে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে আওয়ামী লীগের কারণে এবং তার সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটও দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা ও বাধা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। ‘

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে যা প্রতিটি নেতা-কর্মীর মনে রাখা উচিত এবং তারা কোনো লোভে দেশকে কারো হাতে তুলে দিতে পারে না। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে সবসময় ওপরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জনগণই আমাদের শক্তি। তাই আমি কখনো কারো কাছে মাথা নত করিনি, জীবনের জন্য ভিক্ষা করিনি। আমি আমার পরিবার, আমার পিতা (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু) থেকে শিখেছি। আমি কারও কাছে মাথা নত করব না বা অন্যায় করব না।’

ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাভোগের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যতবার গ্রেফতার হয়েছি ততবারই নেতা-কর্মীদের চিঠি দিয়েছি, চিঠি দিয়ে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি। জনগণ। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা সব সময়ই সঠিক- আমি আমার বাবার সময়েও দেখেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দলের দুঃসময়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ভালো আছেন। সে সময় মাত্র ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়, তাতে তৎকালীন সরকারও বিস্মিত হয়। ‘

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা আওয়ামী লীগ, জনগণই এর শক্তি। আর বিএনপির ক্ষেত্রে তাদের জন্মই জন্মগত পাপ। জনগণ বিএনপির শক্তি নয়।’

দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৬ সালের ১৭ জুলাই গ্রেফতার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একপর্যায়ে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। এরপর তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবিরাম চাপ, আপসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের অটল দাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দিনটিকে শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের উন্নয়ন নিয়ে একদল মানুষ কেন বিরক্ত হচ্ছেন, প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:১৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২

বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন ও অর্জনকে দেশের কিছু মানুষ কেন মেনে নিতে পারছে না বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে একদল মানুষের মন খারাপ হয় কেন? কেন তারা কোনো অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন হিসেবে মেনে নিতে পারছে না? ‘

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির ১৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার গণভবনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বাধা রয়েছে, তারপরও আমরা নিজেরাই পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটাকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না। কেন তাদের দুঃখ? তাদের সমস্যা কোথায়?’ অনেক উন্নত দেশ নেতিবাচক, মহামারীর সময়ে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে আওয়ামী লীগের কারণে এবং তার সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটও দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা ও বাধা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। ‘

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে যা প্রতিটি নেতা-কর্মীর মনে রাখা উচিত এবং তারা কোনো লোভে দেশকে কারো হাতে তুলে দিতে পারে না। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে সবসময় ওপরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জনগণই আমাদের শক্তি। তাই আমি কখনো কারো কাছে মাথা নত করিনি, জীবনের জন্য ভিক্ষা করিনি। আমি আমার পরিবার, আমার পিতা (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু) থেকে শিখেছি। আমি কারও কাছে মাথা নত করব না বা অন্যায় করব না।’

ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাভোগের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যতবার গ্রেফতার হয়েছি ততবারই নেতা-কর্মীদের চিঠি দিয়েছি, চিঠি দিয়ে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি। জনগণ। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা সব সময়ই সঠিক- আমি আমার বাবার সময়েও দেখেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দলের দুঃসময়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ভালো আছেন। সে সময় মাত্র ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়, তাতে তৎকালীন সরকারও বিস্মিত হয়। ‘

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা আওয়ামী লীগ, জনগণই এর শক্তি। আর বিএনপির ক্ষেত্রে তাদের জন্মই জন্মগত পাপ। জনগণ বিএনপির শক্তি নয়।’

দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৬ সালের ১৭ জুলাই গ্রেফতার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একপর্যায়ে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। এরপর তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবিরাম চাপ, আপসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের অটল দাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দিনটিকে শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।