Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/bdopenne/public_html/wp-content/themes/newsflashpro/inc/template-functions.php on line 458
তারবিহীন বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করছে বিশ্ব! - Open News
১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তারবিহীন বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করছে বিশ্ব!

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

তারবিহীন বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করছে বিশ্ব!

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রযাত্রার ফলে এক সময় যে বিষয়গুলো ছিল কল্পনা, সেগুলোই আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহেও আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন—তারবিহীন বিদ্যুৎ!

বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই বিদ্যুৎকে তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরবরাহের উপায় খুঁজছিলেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে প্রযুক্তি জগৎ। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশনের জন্য কোনো ধরনের তারের প্রয়োজন হবে না।

কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি?

তারবিহীন বিদ্যুৎ প্রযুক্তির মূল ভিত্তি হলো রেজোন্যান্ট ইনডাকটিভ কাপলিং ও মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন। এর মাধ্যমে বাতাসের মধ্য দিয়ে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ পাঠিয়ে দূরবর্তী ডিভাইস বা স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। যেমন—একটি পাওয়ার স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট তরঙ্গ পাঠিয়ে ঘরে থাকা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালু রাখা যাবে, ঠিক যেমনটি ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কাজ করে।

বিশ্বব্যাপী এর প্রয়োগ

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টেসলা, স্যামসাং, মিতসুবিশি, হুয়াওয়ে ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের MIT, নাসা এবং জাপানের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে তারবিহীন বিদ্যুৎ পাঠানোর পরীক্ষা চালাচ্ছে।

কী লাভ হবে?

✅ বিদ্যুতের জন্য তারের প্রয়োজন হবে না, ফলে বিপুল পরিমাণ তার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার খরচ বেঁচে যাবে।
✅ স্মার্ট শহর ও ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইস সহজেই চার্জ করা যাবে।
✅ গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় সহজেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
✅ পরিবেশবান্ধব, কারণ এতে কয়লা বা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমবে।

চ্যালেঞ্জ কী কী?

🔴 এই প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব এখনো পুরোপুরি যাচাই করা হয়নি।
🔴 দীর্ঘ দূরত্বে শক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
🔴 ব্যয়বহুল হওয়ায় শুরুর দিকে এটি কেবল উন্নত দেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।

উপসংহার

যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারবিহীন বিদ্যুৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে। আর এটাই হবে প্রযুক্তি জগতের পরবর্তী বড় বিপ্লব!

🔗 আপনার মতামত দিন: তারবিহীন বিদ্যুৎ প্রযুক্তি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী? 🚀

নিউজটি শেয়ার করুন

তারবিহীন বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করছে বিশ্ব!

আপডেট সময় ০১:৩০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

তারবিহীন বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করছে বিশ্ব!

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রযাত্রার ফলে এক সময় যে বিষয়গুলো ছিল কল্পনা, সেগুলোই আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহেও আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন—তারবিহীন বিদ্যুৎ!

বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই বিদ্যুৎকে তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরবরাহের উপায় খুঁজছিলেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে প্রযুক্তি জগৎ। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশনের জন্য কোনো ধরনের তারের প্রয়োজন হবে না।

কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি?

তারবিহীন বিদ্যুৎ প্রযুক্তির মূল ভিত্তি হলো রেজোন্যান্ট ইনডাকটিভ কাপলিং ও মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন। এর মাধ্যমে বাতাসের মধ্য দিয়ে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ পাঠিয়ে দূরবর্তী ডিভাইস বা স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। যেমন—একটি পাওয়ার স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট তরঙ্গ পাঠিয়ে ঘরে থাকা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালু রাখা যাবে, ঠিক যেমনটি ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কাজ করে।

বিশ্বব্যাপী এর প্রয়োগ

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টেসলা, স্যামসাং, মিতসুবিশি, হুয়াওয়ে ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের MIT, নাসা এবং জাপানের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে তারবিহীন বিদ্যুৎ পাঠানোর পরীক্ষা চালাচ্ছে।

কী লাভ হবে?

✅ বিদ্যুতের জন্য তারের প্রয়োজন হবে না, ফলে বিপুল পরিমাণ তার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার খরচ বেঁচে যাবে।
✅ স্মার্ট শহর ও ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইস সহজেই চার্জ করা যাবে।
✅ গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় সহজেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
✅ পরিবেশবান্ধব, কারণ এতে কয়লা বা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমবে।

চ্যালেঞ্জ কী কী?

🔴 এই প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব এখনো পুরোপুরি যাচাই করা হয়নি।
🔴 দীর্ঘ দূরত্বে শক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
🔴 ব্যয়বহুল হওয়ায় শুরুর দিকে এটি কেবল উন্নত দেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।

উপসংহার

যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারবিহীন বিদ্যুৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে। আর এটাই হবে প্রযুক্তি জগতের পরবর্তী বড় বিপ্লব!

🔗 আপনার মতামত দিন: তারবিহীন বিদ্যুৎ প্রযুক্তি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী? 🚀