১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

চৌদ্দগ্রামের অস্ত্রধারী মনিরুজ্জামানকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদারকে লাঞ্ছিত, গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র প্রদর্শনকারী মোস্তফা মনিরুজ্জামান ওরফে জুয়েলকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর মনিরুজ্জামানকে ঢাকা থেকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির তিনটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা প্রথম আলো</em>কে বলেন, চেক জালিয়াতির তিনটি মামলায় মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের পর অস্ত্রসহ মনিরুজ্জামানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ তাকে ধরতে ছুটে যায়।

শুভ রঞ্জন চাকমা আরও জানান, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ফারজানা হক চৌদ্দগ্রাম থানায় এসে মনিরুজ্জামানের কাছে পয়েন্ট ২২ বোরের জামার্নি রাইফেল তুলে দেন। এরপর পুলিশ জুয়েলের অবস্থান জানতে পেরে তাকে আটক করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় মনিরুজ্জামানকে প্রধান আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ তা তদন্ত করছে। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর বনানী মোড় শাহজালাল মজুমদার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের এক ব্রিটিশ প্রবাসীর বাড়ি থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রাইভেটকারে করে নিজ গ্রাম মান্দারিয়ায় ফিরছিলেন। বেলা ৩টার দিকে তিনি নলঘর পশ্চিম বাজারে এলে মোস্তফা মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন তাকে বাধা দেয়। এরপর শাহজালাল গাড়ি থেকে নেমে আত্মরক্ষার্থে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর তার বাম হাতে ও দুই পায়ে আঘাত লাগে। হামলাকারীরা হকি স্টিক নিয়ে চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হলে মনিরুজ্জামান পালিয়ে যায়। তখন তার হাতে রাইফেল ছিল।

এ ঘটনার পর মনিরুজ্জামানের অস্ত্রের বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও মনিরুজ্জামান পুলিশের চোখ এড়িয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়ান, এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেপ্তার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চৌদ্দগ্রামের অস্ত্রধারী মনিরুজ্জামানকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

আপডেট সময় ০৪:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদারকে লাঞ্ছিত, গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র প্রদর্শনকারী মোস্তফা মনিরুজ্জামান ওরফে জুয়েলকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর মনিরুজ্জামানকে ঢাকা থেকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির তিনটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা প্রথম আলো</em>কে বলেন, চেক জালিয়াতির তিনটি মামলায় মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের পর অস্ত্রসহ মনিরুজ্জামানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ তাকে ধরতে ছুটে যায়।

শুভ রঞ্জন চাকমা আরও জানান, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ফারজানা হক চৌদ্দগ্রাম থানায় এসে মনিরুজ্জামানের কাছে পয়েন্ট ২২ বোরের জামার্নি রাইফেল তুলে দেন। এরপর পুলিশ জুয়েলের অবস্থান জানতে পেরে তাকে আটক করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় মনিরুজ্জামানকে প্রধান আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ তা তদন্ত করছে। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর বনানী মোড় শাহজালাল মজুমদার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের এক ব্রিটিশ প্রবাসীর বাড়ি থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রাইভেটকারে করে নিজ গ্রাম মান্দারিয়ায় ফিরছিলেন। বেলা ৩টার দিকে তিনি নলঘর পশ্চিম বাজারে এলে মোস্তফা মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন তাকে বাধা দেয়। এরপর শাহজালাল গাড়ি থেকে নেমে আত্মরক্ষার্থে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর তার বাম হাতে ও দুই পায়ে আঘাত লাগে। হামলাকারীরা হকি স্টিক নিয়ে চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হলে মনিরুজ্জামান পালিয়ে যায়। তখন তার হাতে রাইফেল ছিল।

এ ঘটনার পর মনিরুজ্জামানের অস্ত্রের বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও মনিরুজ্জামান পুলিশের চোখ এড়িয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়ান, এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেপ্তার করে।