চট্টগ্রাম বন্দরে ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহনের রেকর্ড

- আপডেট সময় ০৩:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
- / ৬৯৪ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানি ও শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার পরিবহন বেড়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে বন্দরে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে ৫ শতাংশ।
সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩২ লাখ ৫৫ হাজার একক কনটেইনার পরিবহন করা হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় এ সংখ্যা ৫ শতাংশ বেশি।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান জেটি, কমলাপুর কনটেইনার ডিপো এবং পানগাঁও নৌ টার্মিনালে কতগুলো কন্টেইনার লোড-আনলোড হয়েছে তা হিসাব করে শুক্রবার বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। আমদানি-রপ্তানি কার্গো এবং খালি কন্টেইনার অন্তর্ভুক্ত।
কন্টেইনার বৃদ্ধি মানে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি। শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ছে। কারণ হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া শিল্পের সব কাঁচামাল আমদানি করা হয় কন্টেইনারে। তালিকায় রয়েছে পোশাক, ওষুধ, জুতা, স্টিল, বাণিজ্যিক পণ্য, ভোগ্যপণ্য ইত্যাদি। আবার প্রায় সব রপ্তানি পণ্যই কন্টেইনারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান শুক্রবার বিডি ওপেন নিউজকে বলেন, গত অর্থবছরে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ছিল। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের যানজটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টাই সচল ছিল। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কনটেইনার ও পণ্য পরিবহনে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
দেশে এখন চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে কনটেইনারে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। 98% কনটেইনার পরিবহন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ও নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনের তথ্য দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের চিত্র তুলে ধরে।
বন্দরটি শুধু কন্টেইনার নয়, পণ্য পরিবহনেও প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। গত অর্থবছরে মোট কন্টেইনার পণ্য ও নন-কন্টেইনার পণ্য পরিবহন হয়েছে ১১ কোটি ৮১ লাখ টন। অর্থাৎ পণ্য পরিবহনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।
বিজিএমইএ কনটেইনারে কাঁচামাল আমদানি ও পরিবহনের একমাত্র ব্যবহারকারী। বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিডি ওপেন নিউজকে বলেন, পোশাক খাতে কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কারখানা সচল রেখেছেন উদ্যোক্তারা। কর্মীরা কাজ করেছেন। বন্দর শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় এ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দর আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে আসছে, এটা ঠিক। তবে ভবিষ্যতে সেবার পরিধি ও সক্ষমতা দুটোই বাড়াতে হবে। কারণ, পদ্মা সেতুসহ সরকারি অবকাঠামো নির্মাণের পর বেসরকারি খাতে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। এই চাপ নিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।