১০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

চক্রান্তের কারণে প্রায়ই বিদেশিদের নিষেধাজ্ঞা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ৮৬১ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ষড়যন্ত্রের কারণে বিদেশিরা প্রায়ই নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বাধাগ্রস্ত হয়। তাদের প্রকাশ্য মুখ এক, তাদের ব্যক্তিগত মুখ এক। এটা উপলব্ধি করার সময় এসেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম না করে তিনি বলেন, ‘যারা এই অপমান করেছে আমি তাদের বলব, আপনাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি মনে করি তাদের স্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই অপরাধ এবং তাদের নিজেদের নোংরামি থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। ‘

অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, “অনেক মানুষ বিদেশীদের ব্যান্ডওয়াগনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আমি সবাইকে বলতে চাই, পদ্মা সেতু আমাদের শিখিয়েছে যে আমাদের শুধু ঝাঁপ দিয়ে নয়, আমাদের মানুষের কথা ভাবতে হবে। আমাদের দেশের অবস্থান বিবেচনা করে বিদেশিদের কথায়। বিদেশীরা প্রায়শই বিভিন্ন কৌশল, ভিন্ন স্বার্থের কারণে বিভিন্ন কথা বলে, অনুমোদন দেয়, তাদের প্রকাশ্য মুখ এক এবং ব্যক্তিগত মুখ এক। তাকে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।”

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত ও সংকল্পের কারণে সেতুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। সে সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি দেশের মানুষের কল্যাণকে অগ্রগণ্য করেন।

মশিউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক ইভেন্টের একটি আর্কাইভ তৈরি করার পরামর্শ দেন।

বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। অনেক এলডিসি বিদেশী কোম্পানির কাছে ঋণী। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদেরও এই ফাঁদে পড়তে হয়েছে। তবে সবগুলো বেড়া ভেঙে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। ‘

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যান আছে। তবে আমার কাছে মনে হয় স্প্যান একটি। তিনি হলেন শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এখন সেতুটি উদ্বোধন করায় সেই সমালোচনা হচ্ছে। সর্বস্বান্ত. ‘

সেতু বিভাগের সাবেক সচিব ও বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন:

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পদ্মার বাস্তবায়ন একটি লিটমাস টেস্ট। বাংলাদেশ তা পাস করেছে। পদ্মা সেতু এখন নতুন বাংলাদেশের পরিচয়। পদ্মা সেতু এখন নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের নাম।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সঠিক তথ্য না জেনে অনেকেই ওই সময় টকশোতে পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও উড়ন্ত চিঠিতে বিশ্বাসী হয়েছে। তারা আর্থিক সাহায্য থেকে দূরে সরে গেছে। অনেক কিছুই হয়েছে। তবে যারা সেতুর বিরোধিতা করেছিল তারা এখন খুশি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের ফসল। এটি একটি মেগা শারীরিক গঠন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চক্রান্তের কারণে প্রায়ই বিদেশিদের নিষেধাজ্ঞা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ষড়যন্ত্রের কারণে বিদেশিরা প্রায়ই নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বাধাগ্রস্ত হয়। তাদের প্রকাশ্য মুখ এক, তাদের ব্যক্তিগত মুখ এক। এটা উপলব্ধি করার সময় এসেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম না করে তিনি বলেন, ‘যারা এই অপমান করেছে আমি তাদের বলব, আপনাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি মনে করি তাদের স্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই অপরাধ এবং তাদের নিজেদের নোংরামি থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। ‘

অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, “অনেক মানুষ বিদেশীদের ব্যান্ডওয়াগনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আমি সবাইকে বলতে চাই, পদ্মা সেতু আমাদের শিখিয়েছে যে আমাদের শুধু ঝাঁপ দিয়ে নয়, আমাদের মানুষের কথা ভাবতে হবে। আমাদের দেশের অবস্থান বিবেচনা করে বিদেশিদের কথায়। বিদেশীরা প্রায়শই বিভিন্ন কৌশল, ভিন্ন স্বার্থের কারণে বিভিন্ন কথা বলে, অনুমোদন দেয়, তাদের প্রকাশ্য মুখ এক এবং ব্যক্তিগত মুখ এক। তাকে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।”

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত ও সংকল্পের কারণে সেতুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। সে সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি দেশের মানুষের কল্যাণকে অগ্রগণ্য করেন।

মশিউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক ইভেন্টের একটি আর্কাইভ তৈরি করার পরামর্শ দেন।

বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। অনেক এলডিসি বিদেশী কোম্পানির কাছে ঋণী। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদেরও এই ফাঁদে পড়তে হয়েছে। তবে সবগুলো বেড়া ভেঙে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। ‘

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যান আছে। তবে আমার কাছে মনে হয় স্প্যান একটি। তিনি হলেন শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এখন সেতুটি উদ্বোধন করায় সেই সমালোচনা হচ্ছে। সর্বস্বান্ত. ‘

সেতু বিভাগের সাবেক সচিব ও বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন:

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পদ্মার বাস্তবায়ন একটি লিটমাস টেস্ট। বাংলাদেশ তা পাস করেছে। পদ্মা সেতু এখন নতুন বাংলাদেশের পরিচয়। পদ্মা সেতু এখন নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের নাম।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সঠিক তথ্য না জেনে অনেকেই ওই সময় টকশোতে পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও উড়ন্ত চিঠিতে বিশ্বাসী হয়েছে। তারা আর্থিক সাহায্য থেকে দূরে সরে গেছে। অনেক কিছুই হয়েছে। তবে যারা সেতুর বিরোধিতা করেছিল তারা এখন খুশি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের ফসল। এটি একটি মেগা শারীরিক গঠন।