১১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

কর্মীরা চান হরতাল-ধর্মঘট চায়, ফখরুল বলেন, আগে রাস্তা দখল করুন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

কর্মীরা চান হরতাল-ধর্মঘট চায়, ফখরুল বলেন, আগে রাস্তা দখল করুন

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহতের প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে হরতালের দাবিতে স্লোগান দেয় বিএনপি কর্মীরা। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের বলেন, আগে রাস্তা দখল করুন।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ফখরুলের বক্তব্য শেষে উপস্থিত কর্মীরা ‘হরতাল’ স্লোগান দেন। বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাদের বলেন, আগে রাজপথ দখল করুন। ফখরুলের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরও কর্মীরা ‘হরতালের’ স্লোগান দিতে থাকেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ঘোষণা করছি আগামী দিন থেকে প্রতিটি সংগঠন আন্দোলন করবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি দেব।

কর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজপথে না নামলে কিছুই হবে না। রাস্তা দখল করতে হবে। সবাই রেডি হও। আমি এই সরকারের পতন ঘটাব।

ফখরুল আরও বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি পূরণে সরকারকে আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না। তিনি বললেন, গর্জন করতে হবে। রাস্তা দখল করতে হবে। শাসকদের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি নেতাদের কাছে হারিকেন তুলে দিতে বলেছেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সময় এসেছে হারিকেন ধরানোর। হারিকেন ধরার সময় নেই। পিছনের দরজা দিয়ে যাওয়ার সময়ও পাবেন না। শ্রীলঙ্কার উদাহরণ দিয়ে ফখরুল বলেন, জনগণ মানুষকে পালাতে দেয় না। গত ১৫ বছরে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তাদের নেতাকর্মীরা। পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রহিমের রক্ত ​​দিয়েই সরকারের বিদায়ের সূচনা হয়েছে। একটি গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য পুলিশ গুলি চালাচ্ছে।’

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ, যা হবে অন্তত ৩০ শতাংশ।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কর্মীরা চান হরতাল-ধর্মঘট চায়, ফখরুল বলেন, আগে রাস্তা দখল করুন

আপডেট সময় ১০:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহতের প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে হরতালের দাবিতে স্লোগান দেয় বিএনপি কর্মীরা। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের বলেন, আগে রাস্তা দখল করুন।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ফখরুলের বক্তব্য শেষে উপস্থিত কর্মীরা ‘হরতাল’ স্লোগান দেন। বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাদের বলেন, আগে রাজপথ দখল করুন। ফখরুলের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরও কর্মীরা ‘হরতালের’ স্লোগান দিতে থাকেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ঘোষণা করছি আগামী দিন থেকে প্রতিটি সংগঠন আন্দোলন করবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি দেব।

কর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজপথে না নামলে কিছুই হবে না। রাস্তা দখল করতে হবে। সবাই রেডি হও। আমি এই সরকারের পতন ঘটাব।

ফখরুল আরও বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি পূরণে সরকারকে আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না। তিনি বললেন, গর্জন করতে হবে। রাস্তা দখল করতে হবে। শাসকদের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি নেতাদের কাছে হারিকেন তুলে দিতে বলেছেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সময় এসেছে হারিকেন ধরানোর। হারিকেন ধরার সময় নেই। পিছনের দরজা দিয়ে যাওয়ার সময়ও পাবেন না। শ্রীলঙ্কার উদাহরণ দিয়ে ফখরুল বলেন, জনগণ মানুষকে পালাতে দেয় না। গত ১৫ বছরে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তাদের নেতাকর্মীরা। পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রহিমের রক্ত ​​দিয়েই সরকারের বিদায়ের সূচনা হয়েছে। একটি গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য পুলিশ গুলি চালাচ্ছে।’

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ, যা হবে অন্তত ৩০ শতাংশ।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ।