কয়েক মাসের মধ্যে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে: প্রতিমন্ত্রী
																
								
							
                                - আপডেট সময় ০৩:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
 - / ২৭৭৯ বার পড়া হয়েছে
 
চলমান বিদ্যুৎ সংকটকে সাময়িক বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। লোডশেডিংয়ের কারণে বর্তমান সংকটে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। আজ প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের কারণে গত মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। সেখানে প্রতিমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। লোডশেডিংয়ের কথাও বলেছেন। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতি কেটে গেলে আগের অবস্থান ফিরে আসবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা মনে করি এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো স্থানে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আমরা সব সময় বলে আসছি বর্তমান সংকট সাময়িক। এই সমস্যা বেশিদিন থাকবে না। যাইহোক, বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য আমরা আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংকট নিরসনে আমরা সারাদেশে সিডিউল ভিত্তিক লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। তবে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে লোডশেডিং সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে এবং একই সময়ে ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে 1600 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে, যা আমাদের জাতীয় গ্রিডে 4000 মেগাওয়াটেরও বেশি শক্তি যোগ করবে। .
সবাই ধৈর্য ধরুন. এই কঠিন সময়ে আমাদের আপনার সমর্থন প্রয়োজন। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে উপদেষ্টা নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা উল্লেখ করলেও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ এক পোস্টে বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে এবং একই সময়ে। ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে 1600 মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির সময় 4 হাজার মেগাওয়াটের বেশি হবে। বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে।” দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা ও চাহিদার ব্যবধান বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় গত বুধবার স্বস্তি পাওয়া গেছে।তবে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।এলাকায় এক ঘণ্টা লোডশেডিং ঘোষণা করা হলেও গড়ে দুই ঘণ্টার বেশি। দেশটি.
বিশেষ করে ঢাকার বাইরে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হয়।
নসরুল হামিদ আজ বলেন, “আমরা সব সময় বলে আসছি বর্তমান সংকট সাময়িক। এই সমস্যা বেশিদিন থাকবে না। তবে বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সম্মানিত গ্রাহকদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সোমবারের বৈঠকের পর সাত দিন এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আজও সেই কথাই পুনরাবৃত্তি করলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংকট নিরসনে আমরা সারাদেশে শিডিউলভিত্তিক লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি।
তবে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে লোডশেডিং সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
পরিস্থিতি উত্তরণে সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে আমরা সত্যিই আপনাদের সহযোগিতা চাই।
																		










