ওসমানী মেডিকেলের দুই মামলার সকল আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে

- আপডেট সময় ০৭:৫৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
- / ১০২৯ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা ধর্মঘট করছেন। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট এবং কার্ডিওলজি বিভাগকে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অপরদিকে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত শনিবার হাসপাতালে কর্তব্যরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের পরিচয় দিতে গিয়ে কয়েকজন যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা একত্রিত হয়ে একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হয়। শিক্ষার্থীর ওপর হামলার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার রাতে সড়ক অবরোধ করে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তা পাঁচ দফা দাবিতে পরিণত হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেডিকেল কলেজ এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, নিরাপত্তা জোরদার, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের, জড়িতদের গ্রেপ্তার করা।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের বেশিরভাগ দাবি পূরণ হচ্ছে। মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মেডিকেল এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছেন। হামলাকারীদের শনাক্ত করে দুটি মামলাও করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতারা। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ওসমানী মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ না নেওয়া এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
সিলেট কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, দুই মামলার দুই আসামি এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।